অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

অলিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বর্ণনা করা হলাে

প্রগতির সহায়ক :

সমাজ সর্বদা প্রগতির দিকে ধাবিত হয়। আর অলিখিত সংবিধান সমাজের প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে সহজে পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ এটি সমাজের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। সুতরাং অলিখিত সংবিধান প্রগতির সহায়ক। কিন্তু অধিক পরিবর্তনশীলতা আবার অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

জরুরি প্রয়ােজনে সহায়ক :

অলিখিত সংবিধান যেহেতু সহজে পরিবর্তনীয়, তাই জরুরি প্রয়ােজন মিটাতে অলিখিত সংবিধান অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে অলিখিত সংবিধান ঘন ঘন পরিবর্তনের ফলে কোনাে স্থায়ী নীতি ও কার্যক্রম হাতে নেওয়া যায় না। এর ফলে সরকারব্যবস্থা অস্থিতিশীল হতে পারে ।

আরও পড়ুন :  জি-৭ সম্মেলন ২০২২

আরো পড়ুন :

আরও পড়ুন :  শাখারভ পুরস্কার

বিপ্লবের সম্ভাবনা কম :

এ সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় । জনগণের আশা-আকাক্ষা অনুযায়ী অলিখিত সংবিধান পরিবর্তন হতে পারে বিধায় বিপ্লবের সম্ভাবনা কম থাকে।

বিবিধ :

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থায় অলিখিত সংবিধান উপযােগী নয়। এ সংবিধানের অধিকাংশ বিষয় লিখিত না থাকায় রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা থাকে না।

Leave a Reply