শিক্ষা

ইউনেসকোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

প্রতিষ্ঠা : ১৯৪৫ সালের নভেম্বর মাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে তত দিনে। কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতা রয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। এক দেশের প্রতি আরেক দেশের ঘৃণা, অবিশ্বাস, জাতিগত বিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা চরম আকার ধারণ করেছে। এমন সময়ে, ১-১৬ নভেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে লন্ডনে। অনুষ্ঠিত হলাে একটি সম্মেলন। উদ্দেশ্য, দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠন প্রতিষ্ঠা। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৬ সালে যা শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা (ইউনেসকো) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

সদর দপ্তর : ইউনেসকোর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে।

মহাপরিচালক : ফ্রান্সের আন্দ্রে আজুলে (ফ্রান্স)।

সদস্যরাষ্ট্র : বর্তমানে ইউনেসকোর সদস্যরাষ্ট্র ১৯৩টি।

সহযােগী সদস্য : ইউনেসকোর সহযােগী সদস্যদেশ ১২টি।

কাজের ক্ষেত্র : সংস্থাটির মূল কাজের ক্ষেত্র ৪টি। যথা শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যােগাযােগ।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

ইউনেসকো ও বাংলাদেশ : বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, যােগাযােগব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইউনেসকো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ ইউনেসকোতে যােগদান করে ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং সাধারণ সম্পাদক মােহাম্মদ মাহবুব হােসেন।

ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের যত কিছু

  • খুলনার বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদকে ৫২২তম ও নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে। ৩২২তম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘােষণা করে ১৯৮৫ সালে।
  • ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য ঘােষণা করে ইউনেসকো।
  • ১৯৭১ সালে ইউনেসকোর উদ্যোগে ইরানের রামসারে অনুষ্ঠিত রামসার কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশের নিম্নোক্ত তিনটি রামসার সাইট রয়েছে : ১. সুন্দরবন ২. টাঙ্গুয়ার হাওর ৩. হাকালুকি হাওর
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির জন্য বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেসকো কর্তৃক প্রদত্ত হুপে-বােয়ানি শান্তি পুরস্কার লাভ করেন ১৯৯৮ সালে।
  • ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘােষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর।
  • ২০০৫ সালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাউলগান’কে মানবতার ধারক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
  • ২০১৬ সালে মঙ্গল শােভাযাত্রা’ ইউনেসকোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়।
  • বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণ ইউনেসকোর মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর।
  • ২০১৭ সালে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় ‘শীতলপাটি।
  • ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক পুরস্কার প্রবর্তিত হয় ২০২১ সালে (প্রথম বছর পুরস্কার পায় উগান্ডার মােটিভ ক্রিয়েশনস লিমিটেড)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button