শিক্ষা

ট্রানজিট

এক বা একাধিক দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সড়ক, রেল ও নৌপথে পণ্যসামগ্রী পরিবহণ করার প্রক্রিয়াকে ট্রানজিট বলে। অন্যভাবে বলা যায়, ট্রানজিট হলাে নিজ দেশের পণ্য অন্য কোনাে দেশের ভূমি ব্যবহার করে নিজ দেশ বা তৃতীয় কোনাে দেশে পাঠানাে। যেমন: বাংলাদেশি পণ্যবাহী যান যখন ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল বা ভুটানে যায়, তখন তা হলাে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়া।

ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নিজ দেশের পণ্য পরিবহণে তার নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। ট্রানজিট সুবিধার জন্য আন্তজাতিক কিছু বিধিবিধান মেনে চলতে হয়। এর জন্য রয়েছে বার্সেলােনা ট্রানজিট কনভেনশন-১৯২১ ও নিউইয়র্কট্রানজিট কনভেনশন-১৯৬৫।

এছাড়া WTO’র জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT) দলিলের পঞ্চম ধারায় (আর্টিকেল-৫) ট্রানজিটের স্বাধীনতা বিষয়টি সম্পর্কেনীতিবিধান উল্লেখ করা হয়েছে। এটি WTO’র সব সদস্য দেশের জন্য সমভাবে প্রযােজ্য। বার্সেলােনা কনভেনশনে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরের সুযােগ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

নিরাপত্তা বিবেচনায় ট্রানজিট সুবিধা সীমিত করার সুযােগও এ কনভেনশনে নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্রানজিটের বিপরীতে কোনাে শুল্ক আদায় করার সুযােগ নেই। তবে এই পণ্য পরিবহণের অবকাঠামাে ব্যবহার, তা রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদির সেবার জন্য মাশুল আদায় করা যাবে।

বার্সেলােনা কনভেনশনের ধারা ৩-এ ট্রানজিটের অধিকার দিতে কোনাে ধরনের অর্থগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ট্রানজিট পরিচালনার ব্যয় নির্ধারণ করে তা আদায় করার সুযােগ রেখেছে। GATT’র পঞ্চম ধারার ৩-৬নং উপধারার শর্ত অনুসারে, দুই ভাগে মাশুল আদায় করা যায়। এক, পণ্য প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে বিভিন্ন সেবার বিনিময়ে মাশুল ও সার্ভিস চার্জ আদায় দুই ট্রানজিট পণ্যবাহী যানবাহনের ওপর নিবন্ধন ফি, কর, টোল ইত্যাদি অথবা মাল আদায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button