শিক্ষা

ফিনটেক : আর্থিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার

আর্থিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারকে সংক্ষেপে ফিনটেক বলে। অর্থাৎ ফিনটেক হলো প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম আর্থিক উদ্ভাবন। যেমন নতুন ব্যবসায়িক মডেল, মডেলের প্রয়োগ, প্রসেসিং, পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা ইত্যাদি, যা আর্থিক পরিষেবা খাতকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।

ইতিমধ্যে পিটুপি, চেক জমা, অর্থের লেনদেন, বিল পরিশোধ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্রাউড ফান্ডিং ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে ফিনটেক ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। অন্যদিকে ‘ফিয়াট মানি’র (কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ধাতব বা কাগুজে মুদ্রা) বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রারও (ক্রিপ্টোকারেন্সি) প্রচলন শুরু হয়েছে।

যেমন বিটকয়েন, ফেসবুক প্রস্তাবিত লিবরা ইত্যাদি। এগুলোও ফিনটেকের উদাহরণ। ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৫৭ শতাংশ বেশি।

২০১৯ সালে ডিজিটাল অর্থ প্রদানের (বিমা এবং ব্যাংকিং খাত ছাড়া, যেমন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আদান-প্রদান ইত্যাদি) পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৮ সালে ছিল ১২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফিনটেক সেবা প্রদানের নিমিত্তে বিশ্বজুড়ে স্টার্টআপের উত্থান গত কয়েক বছর ছিল ব্যাপকভিত্তিক।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্টার্টআপের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯২৫, যার দুই-পঞ্চমাংশই (৮,৭৭৫) যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। এর পরে রয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশগুলো (৭,৩৮৫)। এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোয় ফিনটেক স্টার্টআপের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬৫।

তবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে চীন বেশ অগ্রগামী। ফিনটেক শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি এবং জনপ্রিয়তা মূলধারার ব্যাংকিং খাতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন আনবে। ফিনটেক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button