সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে বাংলায় আসা ইউরােপীয় জাতি– পর্তুগিজ।
সমুদ্র পথে প্রথম ভারতে আসেন; পতুর্গিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা।
তিনি ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছেন ১৪৯৮ সালের ২৭ মে।
ওলন্দাজরা উপমহাদেশে আসে- ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে; দিনেমাররা (ডেনমার্ক) আসে- ১৬১৬ সালে, ফরাসিরা আসে- ১৬৬৪ সালে।
পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়ে কুঠি স্থাপনের অনুমতি লাভ করে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে; তাদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করেন- শায়েস্তা খান।
পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম বন্দরের নাম দেন – পাের্টোগ্রান্ডে।
ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয় – ১৬০০ সালে; সম্রাট জাহাঙ্গীরের অনুমতি নিয়ে তারা প্রথম কুঠি স্থাপন করেন— সুরাটে (১৬১২)।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস
- বাংলাদেশের চলচ্চিত্র
- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
- বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি
- ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংস্কার
- গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়দের তালিকা
- বাংলায় ইউরােপীয়দের আগমন ও শাসন
- মুঘল শাসনামলে বাংলা
- বাংলায় মুসলমান ও স্বাধীন সুলতানি শাসনামল
- বাংলার প্রাচীন জনপদ ও শাসনামল
ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মিত হয় কলকাতায় (১৭০০); এ দুর্গকে কেন্দ্র করেই ভারতে সূচিত হয় ব্রিটিশ শাসন।
ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার রাজস্ব আদায় ক্ষমতা/দেওয়ানী লাভ করে–১৭৬৫ সালে ।
ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করে— ১৭৬৫ সালে।
বাংলায় দ্বৈত শাসনের মারাত্মক পরিণতি ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (বাংলা ১১৭৬, ইংরেজি ১৭৭০ খ্রি.)।
দ্বৈতশাসনের অবসান ঘটে- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন কার্টিয়ার ।
লর্ড কর্ণওয়ালিস গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে, তিনি চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন- ১৭৯৩ খ্রি.।
ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন— ১৭৭২ সালে; তিনি পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
তিনি ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের প্রথম সূচনা করেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন- লর্ড ক্যানিং; উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রাও তিনি চালু করেন।
লর্ড রিপন কর্তৃক গঠিত শিক্ষা কমিশনের নাম হান্টার কমিশন।