অন্যান্য

হৃদযন্ত্রকে ভালাে রাখার উপায়

আমরা প্রথম অধ্যায় থেকে জেনেছি, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আমাদের প্রয়ােজন সুষম খাদ্য এবং শরীরকে সচল রাখার জন্য প্রয়ােজন ব্যায়াম ও বিশ্রাম। সুষম খাদ্য গ্রহণ করা যেমন আবশ্যক, তেমনি খাদ্য গ্রহণ এবং জীবনপ্রণালি সম্বন্ধে কতগুলাে সুঅভ্যাস গড়ে তােলাও একান্ত আবশ্যক। অনেক কারণেই দেহে নানা ধরনের রােগ হতে পারে। তবে সঠিক খাদ্যব্যবস্থা এবং জীবনপ্রণালি অনুসরণ করে হৃদ্যন্ত্রকে ঠিক রাখা যায়। সেগুলাে হচ্ছে:

  • দেহের উচ্চতা এবং বয়স অনুসারে কাক্ষিত ওজন বজায় রাখা আবশ্যক। দেহের ওজন বেশি হলে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ প্রােটিন মিশ্রিত খাবার খাওয়া উচিত।
  • শর্করা, মিষ্টি ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শাক-সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। উদ্ভিজ তেল গ্রহণ করা উচিত, তবে সামুদ্রিক মাছের তেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা হ্রাস করে। মাছভােজীদের হৃদ্‌রােগের প্রকোপ এ জন্য তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
  • সুষম খাদ্যে ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা যা আছে তা অপরিবর্তিত রাখা উচিত। তবে খাওয়ার লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়ােজন আছে। রসুন, তেঁতুল, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও অন্যান্য ফল নিয়মিত খেলে হৃদরােগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।

এগুলাে ছাড়া সঠিক ও পরিমিত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ এবং অতিভােজন হতে বিরত থাকতে হবে। অত্যধিক মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি এড়ানাে, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম অথবা হাঁটা এবং সুষ্ঠু জীবনযাপন অর্থাৎ সময়মতাে ঘুমানাে, ধূমপান থেকে বিরত থাকলে হৃদরােগ বা উচ্চরক্ত চাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button