শব্দ গঠন করার আটটি প্রধান উপায় রয়েছে:
১. সংযোজন: দুটি বা তার বেশি শব্দকে একত্রিত করে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়। যেমন: "হাতলিপি", "টেলিফোন"।
২. বিকৃতি: শব্দের কোনো অংশ পরিবর্তন করে নতুন শব্দ তৈরি করা হয়। যেমন: "বড় → বড়ই", "গান → গায়েন"।
৩. অলংকার: শব্দের উচ্চারণ বা গঠন পরিবর্তন করে বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। যেমন: "মধুর স্বর"।
৪. প্রত্যয় যোগ: কোনো শব্দের সাথে বিশেষ প্রত্যয় যোগ করে নতুন শব্দ গঠন করা। যেমন: "বন্ধু → বন্ধুত্ব", "শিক্ষক → শিক্ষিকা"।
৫. প্রত্যয় বর্জন: কোনো শব্দের শেষে প্রত্যয় কেটে নতুন শব্দ তৈরি করা। যেমন: "ভাল → ভালো"।
৬. বিশেষণ যোগ: শব্দের সাথে বিশেষণ যুক্ত করে তা আরও বিশদ বা নির্দিষ্ট করে তোলে। যেমন: "সুন্দর → সুন্দরী"।
৭. সংক্ষেপণ: দীর্ঘ বা জটিল শব্দের সংক্ষেপণ করা। যেমন: "টেলিভিশন → টিভি", "কম্পিউটার → কম্পু"।
৮. ভাষাগত পরিবর্তন: শব্দের উচ্চারণ বা অর্থ পরিবর্তন করে নতুন অর্থ তৈরি করা। যেমন: "কাঠ → কাঁটা"।
এই বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে নতুন শব্দের সৃষ্টি ভাষার সমৃদ্ধি বাড়ায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত ভাষা গঠন করতে সহায়তা করে।
Please login or Register to submit your answer