ক্রসিং ওভার (crossing over) হল জিনগত বৈচিত্র্য গঠনের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা ঘটে মিয়োসিস (Meiosis) নামক কোষ বিভাজনের সময়। মিয়োসিস হল এমন একটি বিশেষ ধরণের বিভাজন, যার মাধ্যমে গ্যামেট বা জনন কোষ (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু) গঠিত হয়।
মিয়োসিসের প্রথম ধাপ হচ্ছে Meiosis I, যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপপর্যায় হলো Prophase I। এই Prophase I আবার পাঁচটি ধাপে বিভক্ত—Leptotene, Zygotene, Pachytene, Diplotene, ও Diakinesis।
Pachytene ধাপে, প্রতিটি সমজাতীয় ক্রোমোসোম (homologous chromosomes) একে অপরের খুব কাছাকাছি এসে Synapsis সম্পন্ন করে এবং চিয়াজমা (chiasma) নামক স্থানে ক্রসিং ওভার ঘটে। এ সময়, দুটি সমজাতীয় ক্রোমোসোমের অংশ আদান-প্রদান (recombination) করে এবং নতুন জিনগত সংমিশ্রণ তৈরি হয়।
এই ক্রসিং ওভারই জিনগত বৈচিত্র্য, অর্থাৎ সন্তানের মধ্যে বাবা-মায়ের বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার প্রধান কারণ। এটি প্রাকৃতিক নির্বাচন ও বিবর্তনের জন্য অপরিহার্য।
এই ধারণাটি জীববিজ্ঞানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে জেনেটিক্স, প্রজনন এবং ক্রোমোসোম বিশ্লেষণ বুঝতে হলে Pachytene ধাপ এবং ক্রসিং ওভার ভালোভাবে বোঝা আবশ্যক।
Please login or Register to submit your answer