চর্যাগীতির পুঁথি বাংলার পুরনো সাহিত্যসম্ভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পুঁথির আবিষ্কারের ঘটনা বাংলার সাহিত্য ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগারে এই পুঁথি আবিষ্কার করেন। চর্যাগীতির পুঁথির মধ্যে বহু পুরনো গান ও কবিতা ছিল, যা বাংলার প্রাচীন বৈষ্ণব ধর্ম ও সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি চর্যাপদ নামক এক ধরনের কবিতার অংশ এবং এতে প্রধানত তান্ত্রিক ধর্মের বিভিন্ন গান ও স্তোত্র রয়েছে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর এই আবিষ্কার বাংলার সাহিত্যচর্চায় নতুন দ্বার উন্মুক্ত করে। চর্যাগীতি মূলত বৈষ্ণব পদাবলি সঙ্গীত, যা তান্ত্রিক বা লোকসংস্কৃতির একটি অনন্য ধারার অংশ। এই আবিষ্কার বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নে একটি অমূল্য সংযোজন ছিল, কারণ এতে তান্ত্রিক ভাবনার সাথে সম্পর্কিত প্রচলিত গানের একটি পুরনো রূপ প্রকাশিত হয়।
Please login or Register to submit your answer