গামা রশ্মি (Gamma rays) হলো তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটি বৈদ্যুতিক চৌম্বক তরঙ্গ (Electromagnetic Wave) হলেও এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অত্যন্ত ছোট এবং শক্তি অত্যন্ত বেশি।
গামা রশ্মির উৎস:
ইউরেনিয়াম, থোরিয়ামের মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থের ক্ষয়ন (radioactive decay) থেকে।
পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ।
কিছু উচ্চ শক্তিসম্পন্ন মহাজাগতিক ঘটনা যেমন: সুপারনোভা।
চিকিৎসা ও শিল্পক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহৃত হয় (যেমন: ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি)।
কেন এটি ক্ষতিকর?
গামা রশ্মি শরীরের কোষে প্রবেশ করে DNA বা জিনগত উপাদানের ক্ষতি করতে পারে।
এটি ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত গামা রশ্মি প্রসবজনিত ত্রুটি, ত্বকের পোড়া, রক্তের কোষ ধ্বংস ইত্যাদি ঘটাতে পারে।
প্রাণী ও উদ্ভিদের কোষ বিভাজনে বিঘ্ন ঘটায়।
প্রাকৃতিক সুরক্ষা:
পৃথিবীর ওজোন স্তর ও বায়ুমণ্ডল আমাদেরকে এই অতিবিপজ্জনক গামা রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
কিন্তু ওজোন স্তর ক্ষয় বা পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি সরাসরি প্রাণীজগতে প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার:
গামা রশ্মি চিকিৎসায় সুনির্দিষ্ট মাত্রায় উপকারী হলেও, অতিরিক্ত বা অপ্রাকৃতিক রিলিজ হলে এটি মানবজাতি ও পরিবেশের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। তাই এটিকে জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি বলা হয়।
Please login or Register to submit your answer