জ্ঞাতি সম্পর্ক (Kinship) হল সমাজে রক্ত, বিবাহ বা দত্তক গ্রহণের মাধ্যমে গঠিত সম্পর্কের কাঠামো। এটি সমাজের ভিত্তি এবং সামাজিক সম্পর্ক গঠনের মূল উপাদান।
জ্ঞাতি সম্পর্কের প্রধান ধরন:
রক্ত সম্পর্ক (Consanguineal Kinship):
- এটি জন্মসূত্রে গঠিত সম্পর্ক।
- যেমন: বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচা-ফুফু ইত্যাদি।
বৈবাহিক সম্পর্ক (Affinal Kinship):
- এটি বিবাহের মাধ্যমে গঠিত সম্পর্ক।
- যেমন: স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাশুর-ননদ ইত্যাদি।
দত্তক সম্পর্ক (Fictive Kinship):
- এটি আইন বা সামাজিক রীতির মাধ্যমে গঠিত সম্পর্ক।
- যেমন: পালক পিতা-মাতা ও পালিত সন্তান, ধর্মীয় ভাই বা বোন ইত্যাদি।
অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞাতি সম্পর্ক:
- পিতৃপক্ষীয় জ্ঞাতি (Patrilineal Kinship): পিতার বংশ ধরে উত্তরাধিকার নির্ধারণ হয়।
- মাতৃপক্ষীয় জ্ঞাতি (Matrilineal Kinship): মায়ের বংশ ধরে উত্তরাধিকার নির্ধারণ হয়।
- দ্বিপাক্ষিক জ্ঞাতি (Bilateral Kinship): পিতৃ ও মাতৃ উভয় পক্ষের জ্ঞাতি সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়।
জ্ঞাতি সম্পর্ক সামাজিক কাঠামোর মূল ভিত্তি এবং এটি সমাজের নিয়ম, সম্পত্তির বণ্টন, এবং সামাজিক ভূমিকা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Please login or Register to submit your answer