ড্রোন শব্দটি আধুনিক প্রযুক্তি জগতের এক বহুল আলোচিত নাম। ড্রোন মূলত একটি চালকবিহীন বিমান (Unmanned Aerial Vehicle বা UAV), যা দূরবর্তীভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম করা যায়।
ড্রোনের গঠন ও নিয়ন্ত্রণ:
এতে ক্যামেরা, সেন্সর, জিপিএস, মোটর এবং কম্পিউটার সিস্টেম যুক্ত থাকে
এটি রিমোট কন্ট্রোল, মোবাইল অ্যাপ বা প্রোগ্রাম করা সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়
সাম্প্রতিককালে AI এবং মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় রুট প্ল্যানিংও সম্ভব হয়েছে
ড্রোনের ব্যবহার ক্ষেত্র:
১. সামরিক উদ্দেশ্যে:
গোয়েন্দা নজরদারি
অস্ত্র বহন ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
স্যাটেলাইট বিকল্প হিসেবে তথ্য সংগ্রহ
২. সিভিল বা বেসামরিক ব্যবহার:
ভূ-মানচিত্র তৈরি, কৃষি জমি পর্যবেক্ষণ
বিপদপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার কাজ
ট্রাফিক মনিটরিং
চলচ্চিত্র ও সংবাদ চিত্রগ্রহণ
৩. বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে:
অ্যামাজন, ফেডএক্স প্রভৃতি ড্রোন ব্যবহার করে পণ্য ডেলিভারি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে
ড্রোন ট্যাক্সি নিয়ে গবেষণা চলছে
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি:
ড্রোন এখন মিনি আকারে পাওয়া যায় যা খেলনা থেকে শুরু করে পেশাদার ক্যামেরা ড্রোন পর্যন্ত বিস্তৃত
5G, GPS এবং অটো-পাইলট প্রযুক্তির সংযুক্তিতে ড্রোনের কার্যক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে
চ্যালেঞ্জ ও সতর্কতা:
বেসামরিক এলাকায় ড্রোন ব্যবহারে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে
বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অপব্যবহারের ঝুঁকি
উপসংহার:
ড্রোন আধুনিক প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটি মানব শ্রম কমিয়ে এনে সময় ও খরচ বাঁচায়, তবে এর ব্যবহারে নৈতিকতা ও নিরাপত্তার বিষয়েও সতর্কতা থাকা জরুরি।
Please login or Register to submit your answer