The Institute for Economics and Peace (IEP) কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশ ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে। এই সূচকটি একটি দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা, প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। ৩৫তম অবস্থানটি তুলনামূলকভাবে মাঝামাঝি স্তরের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়, যার মানে হচ্ছে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব আগের চেয়ে কমলেও এখনো এটি একটি সতর্কতামূলক চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ বিগত দশকে নানা ধরনের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম চালিয়েছে, বিশেষ করে ২০১৬ সালের গুলশান হামলা-এর পর থেকে সরকার ব্যাপকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সক্রিয় করে। র্যাব, পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন বাহিনী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গি নেটওয়ার্ক দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছে।
IEP-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ সূচকে অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আংশিক সাফল্য পেয়েছে, তবে সামাজিক-মৌলবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা এবং অনলাইনে চরমপন্থী প্রচারণা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
এই সূচকে অন্যান্য উচ্চ-ঝুঁকির দেশ যেমন বারকিনা ফাসো, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ইত্যাদির তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো হলেও, বাংলাদেশকে এখনও সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ দমন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে উগ্রপন্থী মতাদর্শ থেকে দূরে রাখতে শিক্ষা ও প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ জরুরি।
IEP-এর সূচকে এমন একটি অবস্থান থাকা মানে হচ্ছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ এখন নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তাই ভবিষ্যতে যেন এই সমস্যা পুনরায় মাথাচাড়া না দেয়, সেজন্য ধারাবাহিক মনিটরিং, প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রাখা জরুরি।
Please login or Register to submit your answer