নিউক্লিয়ার ফিউশন হলো একটি পারমাণবিক প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি হালকা পরমাণু একত্রিত হয়ে একটি ভারী পরমাণু তৈরি করে এবং এই প্রক্রিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচলিত নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়া ঘটে হাইড্রোজেন পরমাণুর মাধ্যমে।
প্রাকৃতিকভাবে, সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রগুলির কেন্দ্রস্থলে নিউক্লিয়ার ফিউশন ঘটে। সূর্যের মধ্যে, দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু একত্রিত হয়ে হিলিয়াম তৈরি করে এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শক্তি মুক্ত হয়, যা সূর্যের আলো এবং তাপ উৎপন্ন করে। সূর্যের ফিউশন প্রক্রিয়াটি প্রোটন-প্রোটন চেইন নামে পরিচিত, যেখানে হাইড্রোজেন পরমাণু একে অপরের সাথে ফিউশন হয়ে শক্তি তৈরি করে।
হাইড্রোজেন নিউক্লিয়ার ফিউশনের প্রধান জ্বালানি হওয়ার কারণ হলো এটি খুবই হালকা এবং শক্তিশালী পরমাণু। এটি সহজেই পরমাণু শক্তির জন্য শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে পৃথিবীতে নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন, যাতে এই প্রক্রিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করা যায়, যা পরবর্তীতে বিশ্বের শক্তির চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করা যাবে। তবে, এটি অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং একটি প্রযুক্তি, কারণ এটি সূর্যের মতো উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপের প্রয়োজন।
ফিউশন শক্তি, যদি এটি কার্যকরভাবে পৃথিবীতে ব্যবহার করা যায়, তবে এটি এক ধরনের শুদ্ধ এবং অসীম শক্তির উৎস হতে পারে, যা প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল বা কয়লার মতো পরিশোধনযোগ্য জ্বালানি উত্সের উপর নির্ভরশীল নয়।
Please login or Register to submit your answer