কার্বন মনোক্সাইড (CO) একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক গ্যাস, যা নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। এটি বিনা রঙ, গন্ধ, এবং স্বাদহীন হওয়ায় এটি সহজে শনাক্ত করা যায় না এবং তাই এটিকে “নীরব ঘাতক” বলা হয়। এটি সাধারণত অপূর্ণ জ্বলন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়, যেমন গাড়ির ইঞ্জিন, চুল্লি বা কেমিক্যাল রিঅ্যাক্টরে।
কার্বন মনোক্সাইড রক্তে হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বোক্সিহেমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা অক্সিজেনের সাথে সাযুজ্যপূর্ণভাবে কাজ করতে পারে না। এর ফলে, রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে পড়ে, এবং মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে অক্সিজেন অভাবে ভুগে মৃত্যুবরণ করতে পারে। বিশেষত, ছোট ছোট ঘর বা সিলিন্ডারে এতে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে, অক্সিজেনের ঘাটতি ও মাথাব্যথা, বমি, অজ্ঞান হওয়া বা মৃত্যু হতে পারে।
কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব:
প্রথমে মাথাব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।
অলসতা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।
অবশেষে, যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, মৃত্যু ঘটতে পারে।
এটি প্রতিরোধ করার জন্য বায়ুর সঞ্চালন সঠিকভাবে থাকতে হবে এবং কার্বন মনোক্সাইড ডিটেক্টর ব্যবহার করা উচিত।
Please login or Register to submit your answer