পদার্থের মৌলিক শ্রেণিবিন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিত্র হলো পর্যায় সারণি (Periodic Table)। এটি বিশ্বের সমস্ত রাসায়নিক উপাদানের একটি সিস্টেমেটিক ডান-ডান তালিকা, যা তাদের বৈশিষ্ট্য এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়। পর্যায় সারণির একটি মূল ভিত্তি হলো ইলেক্ট্রন বিন্যাস (Electron Configuration)।
প্রতিটি মৌল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা ইলেকট্রন ধারণ করে, এবং এই ইলেকট্রনগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে বা শক্তির স্তরে অবস্থান করে। মৌলটির রासায়নিক আচরণ এবং বৈশিষ্ট্য মূলত তার পরমাণু কাঠামো বা ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে। ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা যায়, কোন মৌল কোন পর্যায়ে (period) বা কোন দলে (group) থাকবে।
এটি মেনডেলিভের পর্যায় সারণি তৈরির মূল ভিত্তি ছিল। মেনডেলিভ পর্যায় সারণি তৈরি করেছিলেন ইলেকট্রন বিন্যাসের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে, যা মৌলগুলোর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মেলবন্ধনকে পরিষ্কার করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি মৌলের প্রথম ইলেকট্রন স্তরে সর্বোচ্চ ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, এবং দ্বিতীয় স্তরে সর্বোচ্চ ৮টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, যা তাদের গতিবিধি এবং পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে।
আজকের আধুনিক পর্যায় সারণিতে, মৌলগুলির শ্রেণিবিন্যাস শুধুমাত্র তাদের পরমাণু সংখ্যা এবং ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করেই নয়, বরং তার বিভিন্ন রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং পারমাণবিক আয়তনেও নির্ভর করে।
Please login or Register to submit your answer