বাংলা ভাষায় শব্দের দুটি রূপ প্রচলিত—সাধু ও চলিত। সাধু ভাষার শব্দগঠন ও বাক্যরীতি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন এবং লিখিত রূপে বেশি ব্যবহৃত হয়, যেখানে চলিত ভাষা কথ্যরূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং তুলনামূলকভাবে সহজ ও সংক্ষিপ্ত হয়।
‘বন্য’ শব্দটি সাধু রূপের শব্দ, যা সাধারণত সাহিত্য, প্রবন্ধ ও আনুষ্ঠানিক লেখায় ব্যবহৃত হয়। এর চলিত রূপ হলো ‘বুনো’, যা কথ্য ভাষায় বেশি প্রচলিত। ‘বন্য’ শব্দটি মূলত প্রকৃতিতে অগোছালো ও নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কিছুকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন—বন্য প্রাণী, বন্য পরিবেশ ইত্যাদি।
অন্যদিকে, ‘বুনো’ শব্দটি কথ্যভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয় এবং এটি অনেক সময় নেগেটিভ অর্থেও ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ— ‘বুনো পশু’, ‘বুনো লতা’, ‘বুনো লোক’ ইত্যাদি। এর মানে হতে পারে অসভ্য, অনিয়ন্ত্রিত বা অপরিচিত কিছু।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই ‘বন্য’ ও ‘বুনো’ শব্দের অর্থ একে অপরের কাছাকাছি থাকে। বাংলা ভাষার সৌন্দর্য হলো, এখানে একই শব্দের ভিন্ন রূপ ভিন্ন প্রসঙ্গে ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। এজন্য বাংলা ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলো ভালোভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
Please login or Register to submit your answer