‘মজলুম’ শব্দটি বাংলা ভাষায় অত্যাচারিত বা শোষিত ব্যক্তির বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে 'মজলুম' শব্দটি 'জুলুম' (অর্থাৎ অত্যাচার বা অন্যায়) এর সাথে যুক্ত হয়েছে। ‘মজলুম’ সাধারণত সেই ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি অন্যায়ভাবে, অযৌক্তিকভাবে বা অবিচারের শিকার হন। সাধারণত, এই শব্দটি কোনো দুঃখী, নির্যাতিত বা নিপীড়িত মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয়, যারা সমাজে বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে অত্যাচারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কারো প্রতি সামাজিক বা রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বা দুর্ব্যবহার হলে, তাকে মজলুম বলা হয়। বাংলায় এই শব্দটি একটি দয়ালু, সহানুভূতিশীল বা মর্মস্পর্শী অনুভূতির জন্ম দেয়, যেখানে অন্যায় বা অত্যাচারের শিকার ব্যক্তির প্রতি সমবেদনা বা সহানুভূতি প্রকাশিত হয়।
এই শব্দটি রক্তাক্ত, দুর্দশাগ্রস্ত বা শোষিত মানুষের অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। সাহিত্য, কবিতা এবং গানের মধ্যে এই শব্দটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়, যেখানে অত্যাচারের শিকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, সামাজিক অবিচার এবং মানবিক সহানুভূতির কথা উঠে আসে। সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশে, যেমন ইসলামী সাহিত্য, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদিতে এই ধরনের শব্দের ব্যবহার সমাজের ন্যায় এবং মানবিকতার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
‘মজলুম’ শব্দটি সেই ধরনের ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে, যিনি এক ধরনের নির্যাতনের বা অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, এবং সমাজে তার প্রতি সহানুভূতির আহ্বান জানায়। এই শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা এবং ন্যায়বিচারের প্রচার করা হয়, যাতে মানুষের মধ্যে মানবিকতার প্রতি একধরনের সমবেদনা এবং সহানুভূতি জন্মাতে পারে।
Please login or Register to submit your answer