রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার তরী’ ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের শিরোনাম কবিতা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
মাত্রাবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য:
১. প্রতি চরণে মাত্রার নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে।
2. বাংলা ছন্দ তিন ধরনের— স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।
3. মাত্রাবৃত্ত ছন্দে গুরু ও লঘু মাত্রার নির্দিষ্ট বিন্যাস থাকে (সাধারণত ৮ বা ১২ মাত্রা)।
4. প্রতি লাইনে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুসরণ করতে হয়।
5. ছন্দের গতি ও সুর তালবদ্ধ থাকে।
‘সোনার তরী’ কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ:
এই কবিতার প্রতিটি চরণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের স্পষ্ট প্রয়োগ দেখা যায়।
উদাহরণ:
"বোঝাই বহন করি করিতে সিন্ধু পার"
- এখানে প্রতি চরণে মাত্রা গণনা করলে দেখা যায় এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দ অনুসারে বিন্যস্ত।
কবিতার ভাব ও বিশ্লেষণ:
- এটি মূলত এক ধরনের রূপক কবিতা, যেখানে সোনার তরী মানবজীবনের প্রতীক।
- সোনার তরী দ্বারা ব্যক্তির স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও জীবনের গতিশীলতাকে বোঝানো হয়েছে।
- জীবনের অস্থায়িত্ব ও মানবজীবনের পরিণতি সম্পর্কে এই কবিতা চমৎকার রূপকার্থ বহন করে।
Please login or Register to submit your answer