বাংলা ব্যাকরণে সন্ধি হল দুটি ধ্বনির সংযোগজনিত পরিবর্তন। শব্দের মধ্যে থাকা ধ্বনিগুলোর মিলনে নতুন রূপ তৈরি হলে তাকে সন্ধি বলা হয়। 'রাজ্ঞী' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায়— রাজ্ + নী।
এখানে ‘রাজ’ শব্দের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি ‘জ’ রয়েছে, যা ‘নী’ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ‘জ্ঞী’ রূপ ধারণ করেছে। এটি মূলত ‘ব্যঞ্জন সন্ধি’র একটি উদাহরণ। ‘জ্ঞ’ ধ্বনিটি ‘জ’ ও ‘ন’ এর মিলনে গঠিত হয়েছে, যা বাংলা উচ্চারণে পরিবর্তন এনেছে। ‘রাজ্ঞী’ শব্দের অর্থ রাজপরিবারের নারী, বিশেষত রানি বা সম্রাজ্ঞী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
বাংলা ভাষায় সন্ধিবিচ্ছেদ শেখার মাধ্যমে শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া বোঝা সহজ হয়। সন্ধির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন: স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি, বিসর্গসন্ধি। ‘রাজ্ঞী’ শব্দের সন্ধি বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি যে এটি ব্যঞ্জনসন্ধির অন্তর্ভুক্ত। তাই, ব্যাকরণে দক্ষ হতে হলে সন্ধির নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
Please login or Register to submit your answer