শুষ্ক বাতাস বলতে এমন বাতাসকে বোঝায় যাতে কোনো জলীয় বাষ্প থাকে না বা একেবারে অল্প মাত্রায় থাকে। এই শুষ্ক বাতাস বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণে গঠিত, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস হল অক্সিজেন (O₂)। শুষ্ক বাতাসে অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ প্রায় ২০.৯৫%, অর্থাৎ প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
অক্সিজেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক। আমরা যখন শ্বাস নেই, তখন ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তা রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে পৌঁছায়। এই অক্সিজেন কোষে পৌঁছে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে, যা জীবনের মৌলিক প্রক্রিয়া যেমন চিন্তা করা, চলাফেরা করা, হৃদস্পন্দন ইত্যাদিতে ব্যয় হয়।
বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি থাকা গ্যাস হলো নাইট্রোজেন (প্রায় ৭৮%), তারপর অক্সিজেন (২০.৯৫%), এবং তারপর আছে আর্গন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস। যদিও অক্সিজেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু জীবনের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসগুলোর একটি।
শুষ্ক বাতাসে জলীয় বাষ্পের অনুপস্থিতিতে গ্যাসগুলোর শতকরা অনুপাত সহজেই নির্ণয় করা যায়, তাই বিজ্ঞানীরা যখন বাতাসের গঠন বিশ্লেষণ করেন, তখন সাধারণত শুষ্ক বাতাস হিসাব করেই গড় অনুপাত নির্ধারণ করেন।
অক্সিজেনের এই নির্দিষ্ট শতাংশ আমাদের পরিবেশকে জীবন্ত রাখে। যদি এটি মাত্রাতিরিক্ত কমে যায় বা বাড়ে, তাহলে জীবজগতের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পরিবেশের অক্সিজেন স্তর রক্ষা করার জন্য বন সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
Please login or Register to submit your answer