হৃৎপিণ্ডের রক্ষাকারী পর্দা হলো পেরিকার্ডিয়াম, যা হৃৎপিণ্ডের চারপাশে আবৃত একটি তন্তুবিশিষ্ট পর্দা। এটি মূলত দুটি স্তর নিয়ে গঠিত: একটি বাইরের শক্ত স্তর, যা ফাইব্রাস পেরিকার্ডিয়াম নামে পরিচিত এবং একটি অভ্যন্তরীণ স্তর, যা সেরোস পেরিকার্ডিয়াম নামে পরিচিত।
ফাইব্রাস পেরিকার্ডিয়াম হৃৎপিণ্ডকে শারীরিক আঘাত থেকে রক্ষা করে এবং তার অবস্থান নিশ্চিত করে। সেরোস পেরিকার্ডিয়ামের দুটি স্তর রয়েছে: একটি হলো পারিয়েটাল লেয়ার, যা ফাইব্রাস পেরিকার্ডিয়ামের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, এবং আরেকটি হলো ভিসেরাল লেয়ার বা এপিকার্ডিয়াম, যা সরাসরি হৃৎপিণ্ডের বাইরের পৃষ্ঠে আবৃত থাকে। এই দুটি স্তরের মাঝে একটি সেরোস তরল পদার্থ থাকে, যা হৃৎপিণ্ডের গতির সঙ্গে সংযোগ এবং শোষণের জন্য এক ধরণের লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই তরল পদার্থ হৃৎপিণ্ডের ওপর আঘাতের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং এর নরম ও মসৃণ গতি নিশ্চিত করে।
পেরিকার্ডিয়াম হৃৎপিণ্ডের রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, এটি হৃৎপিণ্ডের আকার এবং অবস্থান বজায় রাখতেও সহায়ক। পেরিকার্ডিয়ামের অস্বাভাবিকতা যেমন পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড বা পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুড (জল জমা) হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিভিন্ন হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংস্থান।
Please login or Register to submit your answer