‘লুসি’ হলো একটি অস্ট্রালোপিথেসিন্স প্রজাতির প্রাগৈতিহাসিক নারী জীবাশ্ম, যেটি ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ার হাদার অঞ্চলে আবিষ্কৃত হয়। এই আবিষ্কার ছিল মানব বিবর্তনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
আবিষ্কার:
আবিষ্কারের নেতৃত্বে ছিলেন ডোনাল্ড জোহানসন নামক একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ।
কঙ্কালটির প্রায় ৪০ শতাংশ অক্ষত ছিল, যা মানব বিবর্তনের প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
নাম ‘লুসি’ রাখা হয়েছিল বিটলসের গান "Lucy in the Sky with Diamonds" শোনার সময় গবেষকদের মনে আনন্দ জাগায়, তাই সেই নামেই ডাকা হয়।
বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব:
লুসি প্রজাতির নাম: Australopithecus afarensis।
বয়স: প্রায় ৩.২ মিলিয়ন বছর (৩২ লক্ষ বছর)।
উচ্চতা: প্রায় ৩.৫ ফুট।
সে ছিল দুই পায়ে হাঁটা প্রাণী (bipedal)—মানুষের চলাফেরার ধরন এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
মস্তিষ্কের গঠন ছিল ক্ষুদ্র, তবে শরীরের গঠন আধুনিক মানুষের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে।
কেন লুসি গুরুত্বপূর্ণ:
এটি প্রমাণ করে যে মানুষ সরাসরি বানরের বংশধর নয়, বরং বহু পর্যায়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসেছে।
লুসি দেখায়, মানব জাতির পূর্বপুরুষেরা অনেক আগেই দুই পায়ে হাঁটতে শুরু করেছিল, যা সামাজিক আচরণ ও মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক হয়েছিল।
উপসংহার:
ইথিওপিয়ায় লুসির আবিষ্কার শুধুমাত্র প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি মানব ইতিহাসের শিকড় খুঁজে পাওয়ার পথে এক বড় ধাপ। এই কঙ্কাল আজও গবেষকদের কাছে মানবজাতির বিবর্তনের প্রতীক।
Please login or Register to submit your answer