৭ মার্চ ২০২৫, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা দেশটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত ঘটনা হিসেবে উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ডের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও, ফায়ারিং স্কোয়াডকে একটি অত্যন্ত পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি হিসেবে দেখা হয়। এটি বেশ কয়েকটি দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঐতিহ্য হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, আধুনিক যুগে এটি অত্যন্ত বিরল।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্য, যেমন ইউটাহ এবং মিসৌরি, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফায়ারিং স্কোয়াডকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি হিসেবে অনুমোদন করেছে। ৭ মার্চ ২০২৫, একটি রায়ের মাধ্যমে ইউটাহ রাজ্য ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে একটি নতুন মোড় নিয়ে আসে।
ফায়ারিং স্কোয়াডের পদ্ধতিতে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় কয়েকজন সৈন্য একসঙ্গে লক্ষ্য করে গুলি করে, এবং তাদের মধ্যে একজন সৈন্যের রাইফেলের গুলি আসলেই মৃত্যুর কারণ হয় এমনটি নিশ্চিত করা হয় না। এটি একটি গোপনীয় এবং বিতর্কিত পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্টভাবে কে গুলি করেছে তা জানা যায় না।
এমনকি যদিও কিছু রাজ্য ফায়ারিং স্কোয়াডের পদ্ধতিকে অবৈধ বা অমানবিক বলে মনে করে, তবে এটি কখনও কখনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার একটি বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ৭ মার্চ ২০২৫-এ যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এই ঘটনাটি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং এটি মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের নতুন একটি অধ্যায় খুলে দিয়েছে।
Please login or Register to submit your answer