GATT বা ‘General Agreement on Tariffs and Trade’ ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার একটি অস্থায়ী চুক্তি যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল। এটি ১৯৪৭ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৪৮ সালে কার্যকর হয়। মূলত, এই চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির উপর থাকা শুল্ক (Tariff) এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমানো বা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
GATT-এর মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্ব বাণিজ্যে স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা। এটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। যদিও এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল, তবুও প্রায় ৫০ বছর ধরে এটি কার্যকর ছিল এবং পরবর্তীতে এর ভিত্তিতেই ১৯৯৫ সালে WTO (World Trade Organization)-এর জন্ম হয়।
GATT-এর অধীনে বহুবার মন্ত্রিসভা বৈঠক হয় এবং বিভিন্ন রাউন্ডে বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল Uruguay Round, যার মাধ্যমে WTO গঠনের পথ সুগম হয়। WTO বর্তমানে GATT-এর উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিয়ম-কানুন নিয়ন্ত্রণ করে।
GATT-এর অন্তর্ভুক্ত নীতিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো— Most Favoured Nation (MFN) নীতি, যার ফলে কোনো একটি দেশ যদি কোনো নির্দিষ্ট দেশকে বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধা দেয়, তবে সেটা GATT-এর অন্তর্ভুক্ত সব সদস্য দেশকেই দিতে হয়।
Please login or Register to submit your answer