World Trade Organization (WTO) আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর একটি। WTO গঠনের পেছনে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
WTO এর আগে ছিল GATT বা General Agreement on Tariffs and Trade, যা ১৯৪৮ সালে শুরু হয়েছিল। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে GATT গঠিত হয়েছিল। কিন্তু GATT ছিল একটি অস্থায়ী চুক্তি এবং অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘ বাণিজ্য আলোচনার ধাপ চলে, যার নাম উরুগুয়ে রাউন্ড (Uruguay Round)। এই আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে, শুধু পণ্য নয়, বরং সেবা ও মেধাস্বত্ব (intellectual property) বিষয়েও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি প্রয়োজন। তাই GATT-এর পরিবর্তে একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এবং ১৯৯৫ সালে WTO আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
WTO প্রতিষ্ঠার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১ জানুয়ারি ১৯৯৫
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
প্রথম মহাপরিচালক: পিটার সুদারল্যান্ড
সদস্য সংখ্যা: প্রাথমিকভাবে ১২৩টি দেশ, এখন ১৬০টির বেশি
WTO প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব কী?
WTO গঠনের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একটি শক্তিশালী কাঠামোর মধ্যে চলে আসে।
এটি ছোট দেশগুলোকেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ন্যায্য সুযোগ দেয়।
WTO এর নিয়ম-কানুন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কিছু বিশেষ ছাড় দেয়, যেমন—বাংলাদেশ রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক ছাড় পায়।
বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালেই WTO-এর সদস্যপদ লাভ করে এবং বর্তমানে এটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখার সুযোগ পায়।
WTO-এর প্রতিষ্ঠা একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার একটি বড় মাইলফলক। এটি বাণিজ্যকে শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, পরিবেশ এবং উন্নয়নের সঙ্গেও যুক্ত করেছে।
Please login or Register to submit your answer