জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২

জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২

দ্রুত শিল্পায়ন উচ্চতর প্রবৃদ্ধির প্রধান শর্ত। শুধুপ্রবৃদ্ধির জন্য নয়, শিল্পায়ন ব্যতীত জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা সফলতার সাথে বাস্তবায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদ ব্যবহার করে শ্রমঘন শিল্পায়নের পাশাপাশি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত সুবিধাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা, খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমানের উল্কর্ষ সাধনের লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ প্রণয়ন করা হয়। সর্বশেষ শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হয় ২০১৬ সালে।

আরও পড়ুন :  বাংলাদেশ সংবিধানের সুবর্ণজয়ন্তী

লক্ষ্য

টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সরকারের সামগ্রিক রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে জনশক্তির দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে। উন্নীতকরণ ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবসহ দ্রুত। পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে দীর্ঘ মেয়াদে শিল্পায়ন প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সরকারি ও ব্যক্তিগত খাতের সক্ষমতার উন্নয়ন।

আরও পড়ুন :  সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ

উদ্দেশ্য

  • দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি
  • গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উত্সাহ প্রদান এবং স্থানীয় প্রযুক্তি ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ
  • রপ্তানিযােগ্য পণ্যের বহুমুখীকরণ সহায়ক শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান
  • ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পসহ বৃহৎ শিল্পের অগ্র ও পশ্চাৎমুখী শিল্প গড়ে তােলার মাধ্যমে উচ্চ প্রযুক্তির ভারী শিল্প স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি করা
  • বিনিয়ােগ পরিবেশের অধিকতর উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়ােগ তরান্বিত করা
  • প্রশাসনিক ও আইনী কাঠামাে সহজীকরণের মাধ্যমে শিল্প খাতে বৈদেশিক বিনিয়ােগ উৎসাহিত করা
  • শিল্প পণ্যের মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সংরক্ষণ
  • শিল্প পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাতকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি
  • ৪র্থ শিল্প বিপ্লব উপযােগী পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি ও বাজার চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও সহায়তা প্রদান
  • শিল্প খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর অংশগ্রহণের সুযােগ সৃষ্টি।
আরও পড়ুন :  পাকিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

Leave a Reply