নহর-ই-জুবাইদা কোথায় অবস্থিত? | |
ভুল | বাগদাদ |
সঠিক | মক্কা |
পঞ্চম আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশীদের দাম্পত্য সঙ্গী ছিলেন জুবাইদা। বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা খলিফা আল-মনসুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র জাফরের কন্যা জুবাইদা ছিলেন ক্ষমতাধর নারী। আব্বাসীয় খলিফারা শত শত বছর বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করে গেছেন, যার মধ্যে জাজিরাতুল আরব তথা বর্তমান সৌদি আরবও ছিল। মরুপ্রবণ পবিত্র মক্কায় জমজমের পানি ছাড়া তেমন কোনাে পানির উৎস ছিল।
ফলে হাজিরা সেকালে সুপেয় পানির অভাবে কষ্ট পেতেন। ১৯৩ হিজরিতে খলিফা হারুন অর রশীদের সময়ে পানির অভাব এতই তীব্র হয় যে এক বালতি পানি ২০ দিরহামে বিক্রি করা হতাে। রানি জুবাইদা একবার স্বপ্নযােগে দেখতে পান, তিনি এমন কাজ করবেন। যাতে অগণিত মানুষ উপকৃত হবে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- ব্রিটিশ রানি বর্তমানে কতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান?
- ঢাকা শিশু হাসপাতালের বর্তমান নাম কি?
- বাংলাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার কে?
- সমকাল পত্রিকা প্রকাশিত হয় কবে?
- বর্তমানে দেশে সরকারিভাবে স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর সংখ্যা কতটি?
- সর্বশেষ কোন দেশে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়?
- বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কোনটি?
- বাংলাদেশের বর্তমান স্থলবন্দর কতটি?
- নােবেল বিজয়ী মুসলিম কতজন?
তিনি তাৎক্ষণিক পবিত্র মক্কায় পানির সমস্যা চির অবসানের জন্য একটি খাল খননের সিদ্ধান্ত নেন। যেখান থেকে মক্কায় পানি আনা সম্ভব, এমন একটি উৎস খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
মক্কা উপত্যকার আশপাশে কিছু কূপ থাকলেও পানির উপযুক্ত দুটি উৎস পাওয়া যায় ৩৫ কিলােমিটার দূরে হুনাইন এবং আরাফায়। তার নির্দেশ মােতাবেক পানি আনয়নের জন্য খাল খনন কাজ শুরু হয়। পানির সহজলভ্যতা এবং এ খালের রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি ৫০ মিটার অন্তর একটি করে কূপ খনন করা হয়।
আশপাশের ছােট ছােট পানির উৎসকে এ জলপ্রণালির সঙ্গে যুক্ত করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা হয়েছিল। ঐ খাল পরবর্তীকালে নহর-এ-জুবাইদা বা জুবাইদার খাল নামে পরিচিতি পায়।