পরিবারের বিবর্তন সম্পর্কে মর্গান এর তত্ত্বটি আলোচনা কর।

পরিবারের বিবর্তন সম্পর্কে মর্গান এর তত্ত্বটি আলোচনা কর।

পরিবার মানবসমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা সময়ের সাথে বিভিন্ন ধাপে বিবর্তিত হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বে পরিবার গঠনের বিভিন্ন ধাপ ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন তত্ত্ব উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে লুইস হেনরি মর্গানের (Lewis Henry Morgan) তত্ত্ব পরিবার বিবর্তনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

লুইস হেনরি মর্গান ১৯ শতকের একজন বিখ্যাত আমেরিকান নৃতত্ত্ববিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি পরিবার, আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং সামাজিক বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেন। তার গ্রন্থ Ancient Society” (১৮৭৭)-তে তিনি সামাজিক বিবর্তনের তিনটি স্তর (বর্বরতা এবং সভ্যতা) এবং পারিবারিক গঠনের পরিবর্তনের পর্যায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

মর্গান বিশ্বাস করতেন যে, মানবসমাজ ক্রমান্বয়ে একটি আদিম অবস্থান থেকে একটি জটিল ও সংগঠিত পারিবারিক কাঠামোর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তার মতে, প্রাচীনকালে পরিবারে সম্পর্ক ছিল বিশৃঙ্খল এবং ধীরে ধীরে তা সংগঠিত ও কাঠামোবদ্ধ হয়েছে।

মর্গানের তত্ত্বের পটভূমি

সামাজিক বিবর্তনবাদ

মর্গানের তত্ত্ব সামাজিক বিবর্তনবাদ (Social Evolutionism) ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সামাজিক বিবর্তনবাদ অনুযায়ী, সমাজ একটি নির্দিষ্ট ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয় এবং ক্রমশ জটিলতর ও উন্নততর কাঠামোতে পৌঁছায়।

১৯ শতকে চার্লস ডারউইনের “The Origin of Species” (১৮৫৯) বইয়ের বিবর্তন তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বে গভীর প্রভাব ফেলে। ডারউইনের জৈবিক বিবর্তন তত্ত্বের মতোই সমাজতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, মানুষের সামাজিক কাঠামোও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে।

প্রাথমিক সমাজ ও পরিবার সম্পর্কিত ধারণা

মর্গান পরিবার গঠনের বিভিন্ন ধাপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাজের আত্মীয়তা, বিয়ে প্রথা এবং পারিবারিক কাঠামোর ওপর গবেষণা করেন। তিনি বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী, বিশেষত আমেরিকার আইরোকোয়েস (Iroquois) জাতির পরিবার কাঠামো বিশ্লেষণ করেন।

তার গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল—

  • পরিবার কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে,
  • কিভাবে বিয়ের নিয়ম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক গঠিত হয়েছে,
  • সমাজে নারীদের ভূমিকা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।

পরিবারের বিবর্তন বিষয়ক মর্গানের তত্ত্ব

মর্গানের মতে, পরিবার ক্রমান্বয়ে একটি অগঠিত ও যৌন মুক্ত সমাজ থেকে কাঠামোবদ্ধ, সংগঠিত এবং একগামী (Monogamous) পরিবারে পরিণত হয়েছে। তিনি পরিবার বিবর্তনের পাঁচটি প্রধান ধাপ চিহ্নিত করেন:

পরিবার বিবর্তনের পর্যায়সমূহ

(১) প্রাথমিক যৌন মুক্ত সম্পর্ক (Primitive Promiscuity)
  • এই পর্যায়ে পারিবারিক কাঠামো ছিল অসংগঠিত।
  • একক পরিবার বা নির্দিষ্ট দম্পতির ধারণা ছিল অনুপস্থিত।
  • সমাজে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা বিধিনিষেধ ছিল না।
  • সন্তানরা সমাজের সম্মিলিত দায়িত্বে বড় হতো।
(২) পুনালুয়ান পরিবার (Punaluan Family)
  • এই পর্যায়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম তৈরি হয়, যেমন— সহোদরদের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়।
  • মাতৃতান্ত্রিক সমাজ গঠিত হয়, অর্থাৎ সন্তানরা মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হতে থাকে।
  • যৌথ পরিবার গঠিত হতে শুরু করে, যেখানে একাধিক নারী ও পুরুষ একত্রে বসবাস করত।
(৩) সিন্ডাসমিয়ান পরিবার (Syndyasmian Family)
  • এই পর্যায়ে পরিবার আরও সংগঠিত হয় এবং নির্দিষ্ট দম্পতির ধারণা গড়ে ওঠে।
  • তবে বিবাহপদ্ধতি এখনো পুরোপুরি একগামী ছিল না।
  • পুরুষদের তুলনায় নারীদের ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ সন্তানরা মায়ের পরিচয়েই বড় হতো।
(৪) পিতৃতান্ত্রিক পরিবার (Patriarchal Family)
  • পুরুষদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে।
  • সম্পত্তির মালিকানা পিতার হাতে চলে যায়।
  • একাধিক স্ত্রী রাখার (পলিগ্যামি) প্রবণতা দেখা যায়।
  • সমাজে পিতার নাম ও পরিচয়ই সন্তানের পরিচয়ে পরিণত হয়।
(৫) একগামী পরিবার (Monogamous Family)
  • এটি আধুনিক পরিবারের ভিত্তি গঠন করে।
  • বিবাহ একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
  • পরিবার মূলত স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের নিয়ে গঠিত হয়।
  • ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার প্রথা সুসংগঠিত হয়।

প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • পরিবারের বিবর্তন ধাপে ধাপে ঘটেছে।
  • প্রাথমিক সমাজে যৌথ বসবাসের প্রচলন ছিল।
  • সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ফলে পরিবার কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে।
  • সম্পত্তির মালিকানা, উত্তরাধিকার এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক পরিবারের কাঠামোকে প্রভাবিত করেছে।

মর্গানের তত্ত্ব পরিবার গঠনের একটি সাধারণ কাঠামো প্রদান করে যা নৃতত্ত্ব এবং সমাজবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তত্ত্বের কিছু সীমাবদ্ধতাও চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হবে।

পরিবারের বিবর্তনের পর্যায়সমূহ

লুইস হেনরি মর্গান তাঁর “Ancient Society” (1877) গ্রন্থে পরিবার বিবর্তনের ছয়টি পর্যায় বর্ণনা করেছেন। এগুলো ক্রমান্বয়ে মানব সমাজে পরিবার কাঠামোর পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

প্রাথমিক যৌন মুক্ত সম্পর্ক (Primitive Promiscuity)

  • প্রাচীনকালে পুরুষ ও নারীর মধ্যে সম্পর্ক স্থির ছিল না।
  • একাধিক পুরুষ ও নারীর মধ্যে অবাধ যৌন সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।
  • কোন বিশেষ রীতি বা সামাজিক নিয়ম ছিল না।
  • পিতৃত্ব নির্ধারণ সম্ভব ছিল না, তাই মাতৃতান্ত্রিক সমাজ গঠিত হয়েছিল।

পুনালুয়ান পরিবার (Punaluan Family)

  • “পুনালুয়া” শব্দটি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে নেওয়া, যার অর্থ “স্নেহশীল সঙ্গী”।
  • এই পর্যায়ে ভাইবোন বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ হয়।
  • গোষ্ঠী ভিত্তিক বিবাহ প্রচলিত ছিল, যেখানে নির্দিষ্ট একদল নারী ও পুরুষ একে অপরের জীবনসঙ্গী হতেন।
  • মাতৃগোত্রীয় সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল।

সিন্ডাসমিয়ান পরিবার (Syndyasmian Family)

  • এটি আধা-একগামী (semi-monogamous) পরিবার হিসেবে পরিচিত।
  • বিবাহমূলক সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী ছিল না।
  • দাম্পত্য সম্পর্ক সহজেই ভেঙে যেত।
  • সন্তানদের দায়িত্ব মা বহন করতেন, তাই মাতৃতান্ত্রিক সমাজ প্রবল ছিল।

পিতৃতান্ত্রিক পরিবার (Patriarchal Family)

  • সম্পত্তি, উত্তরাধিকার এবং পারিবারিক নেতৃত্ব পুরুষদের হাতে চলে যায়।
  • বহুস্ত্রীত্ব (Polygyny) প্রচলিত ছিল, যেখানে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতেন।
  • পিতা ছিলেন পরিবারের প্রধান এবং উত্তরাধিকারও পিতার দিকে স্থানান্তরিত হয়।
  • সমাজে ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

একগামী পরিবার (Monogamous Family)

  • সমাজে এক পুরুষ ও এক নারীর মধ্যে স্থায়ী বিবাহ প্রচলিত হয়।
  • পরিবার পরিকাঠামো আরও স্থায়ী ও সুসংহত হয়।
  • উত্তরাধিকার পদ্ধতি সুনির্দিষ্ট হয় এবং পরিবারের ভিত মজবুত হয়।
  • আধুনিক সমাজ এই একগামী পরিবারের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

মর্গানের তত্ত্বের গুরুত্ব

মর্গানের পরিবার বিবর্তন তত্ত্ব সামাজিক নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

নৃতাত্ত্বিক ও সমাজবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ

  • পরিবারের গঠন ও বিবর্তনের একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করেছে।
  • সমাজের ক্রমবিকাশ ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারাকে ব্যাখ্যা করেছে।
  • পরিবার কাঠামোর পরিবর্তনের কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করেছে।

আধুনিক পরিবার গবেষণায় প্রভাব

  • পরিবার সম্পর্কিত গবেষণায় মর্গানের তত্ত্ব পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে।
  • নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় পরিবার, বিবাহ ও সামাজিক সম্পর্কের পরিবর্তন বোঝার জন্য এটি একটি ভিত্তি তৈরি করেছে।
  • সমাজবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব ও ইতিহাসবিদরা তার তত্ত্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা ও সমালোচনা করেছেন এবং আধুনিক সমাজের সাথে তুলনা করেছেন।

মর্গানের তত্ত্ব পরিবার গঠনের বিবর্তন বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, এটি আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অনেক গবেষক মনে করেন যে পরিবার কাঠামোর পরিবর্তন একটি সরলরৈখিক (linear) প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। তবুও, মর্গানের তত্ত্ব পরিবার ও সমাজ বিকাশ নিয়ে গবেষণার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সমালোচনা ও সীমাবদ্ধতা

লুইস হেনরি মর্গান তার বই Ancient Society (১৮৭৭) -এ পরিবার ও সমাজের বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন। যদিও তার তত্ত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

(ক) অন্যান্য গবেষকদের মতামত ও সমালোচনা

  1. একরৈখিক বিবর্তনবাদ (Unilinear Evolutionism)
    • মর্গানের তত্ত্ব একরৈখিক বিবর্তনের উপর ভিত্তি করে, যা বলে যে সমাজ ও পরিবার নির্দিষ্ট একক ধারায় বিকশিত হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষকরা মনে করেন, পরিবার বিবর্তনের একাধিক পথ থাকতে পারে।
  2. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অবমূল্যায়ন
    • মর্গান পরিবার বিবর্তনের একটি সার্বজনীন (Universal) মডেল উপস্থাপন করেছেন, কিন্তু বিভিন্ন সমাজের ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থাকায়, এটি সব সমাজে সমানভাবে প্রযোজ্য নয়।
  3. উপনিবেশবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
    • কিছু গবেষক মনে করেন যে মর্গানের তত্ত্ব ইউরোপীয় সমাজকে সর্বোচ্চ বিবর্তিত ধাপ হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যা উপনিবেশবাদী চিন্তাধারাকে শক্তিশালী করে।
  4. নৃতাত্ত্বিক প্রমাণের অভাব
    • মর্গানের গবেষণা মূলত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে করা হয়েছিল, কিন্তু আধুনিক নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অনেক সমাজের পরিবার ব্যবস্থা মর্গানের ধাপে পুরোপুরি মেলে না।

(খ) বর্তমান সমাজে প্রাসঙ্গিকতা

  1. সমসাময়িক পরিবার কাঠামো
    • আধুনিক সমাজে পারিবারিক কাঠামো অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। যৌথ পরিবার, নিউক্লিয়ার পরিবার, একক অভিভাবক পরিবার, সমলিঙ্গ পরিবার ইত্যাদি নতুন ধরণের কাঠামো তৈরি হয়েছে যা মর্গানের তত্ত্বে উল্লেখ নেই।
  2. প্রযুক্তি ও সামাজিক পরিবর্তন
    • শিল্প বিপ্লব, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্লোবালাইজেশন ইত্যাদি পারিবারিক কাঠামোকে প্রভাবিত করছে, যা মর্গানের তত্ত্বের আওতার বাইরে।
  3. নারীবাদী দৃষ্টিকোণ
    • নারীবাদী গবেষকরা মনে করেন, মর্গানের তত্ত্ব পরিবারকে পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যেই দেখে, যেখানে নারীর ভূমিকার স্বাধীন বিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

উপসংহার

মর্গানের পরিবার বিবর্তন তত্ত্ব পরিবার গবেষণায় এক যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। তার তত্ত্ব আমাদের আদিম সমাজ থেকে বর্তমান পারিবারিক কাঠামোর দিকে বিবর্তনের একটি কাঠামোগত ব্যাখ্যা দেয়।

(ক) সারসংক্ষেপ

  • মর্গান পরিবারকে বিভিন্ন ধাপে বিবর্তিত হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করেন।
  • তিনি একরৈখিক বিবর্তনের ধারণা দেন যা আধুনিক গবেষণায় অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ।
  • তার গবেষণা সামাজিক নৃতত্ত্ব ও পারিবারিক সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

(খ) মর্গানের তত্ত্বের অবদান

  • নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানে পরিবার নিয়ে গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
  • পরিবার, সমাজ ও সংস্কৃতির বিবর্তন বুঝতে সাহায্য করেছে।
  • আধুনিক গবেষণা মর্গানের তত্ত্ব থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছে।

চূড়ান্ত কথা

যদিও মর্গানের তত্ত্ব কিছু সীমাবদ্ধতা বহন করে, তবুও এটি পরিবার ও সমাজ গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক সমাজে পারিবারিক কাঠামো আরও জটিল হয়ে উঠলেও মর্গানের তত্ত্ব আমাদের অতীতকে বোঝার জন্য এক অনন্য দৃষ্টিকোণ প্রদান করে।