বৈষ্ণব পদাবলি
- পদাবলি হলাে বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গুঢ় বিষয়ে সৃষ্টি।
- শ্রীচৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্মদর্শন এবং রাধা-কৃষ্ণের প্রেম-লীলা অবলম্বনে বৈষ্ণব সাহিত্য সৃষ্টি হয়।
- বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গােবিন্দ দাস বৈষ্ণব পদাবলির চার মহাকবি ।
- বিদ্যাপতি ও গােবিন্দ দাস লিখেছেন ব্রজবুলি ভাষায় এবং চণ্ডীদাস লিখেছেন খাঁটি বাংলা ভাষায়।
- বৈষ্ণব পদকর্তাদের মহাজন বলা হয়।
- পদাবলির শ্রেষ্ঠ কবি চণ্ডীদাস।
- ব্রজবুলি একটি কৃত্রিম কবিভাষা।
- বাংলা ও মৈথিলী ভাষা মিলে এ ভাষার সৃষ্টি।
- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি বাঙালি না হয়েও বৈষ্ণব সাহিত্যে গুরুস্থানীয় হয়ে আছেন।
- বিদ্যাপতির উপাধি ছিল—কবিকণ্ঠহার তাকে মৈথিলি কোকিল’ এবং অভিনব জয়দেব’ নামেও ডাকা হয়।
- বিদ্যাপতি মিথিলার রাজা শিবসিংহের রাজসভার কবি ছিলেন।
- শিবসিংহ তাকে কবি কণ্ঠহার উপাধি প্রদান করেন।
- বৈষ্ণব কবিতার সর্বপ্রথম পদ সংকলন করেন বাবা আউল মনোেহর দাস।
- তার সংকলনের নাম ‘পদসমুদ্র’।
- বাংলায় একটি পংক্তি না লিখলেও বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের নামে একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে, শ্রী চৈতন্যদেব ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক ।
- শ্রী চৈতন্যদেবের প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর। বাল্যনাম নিমাই । জন্ম- ১৪৮৬ খ্রি. নবদ্বীপে, মৃত- ১৫৩৩ পুরীতে।
- বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ রচনা করেন বৃন্দাবন দাস চৈতন্য-ভাগবত’ নামে।
গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব পদ :
|