ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।

ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওর মাধ্যমে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রাবন্দর উদ্বোধন করেন। অপরদিকে দেশের শিক্ষামন্ত্রী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইলেকট্রনিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের কথা বলার প্রেক্ষিতে ABC কলেজের পরিচালনা পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য ফেস রিকগনিশন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে। যদিও বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু আছে।

ক. ই-কমার্স কী?
খ. ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটির সুবিধাগুলো কী কী? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দীপকে কম সময়ে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে কোনটির প্রাধান্য দেয়া কলেজের জন্য বেশি যুক্তিযুক্ত হবে?-বিশ্লেষণ কর ।

ক. ই-কমার্সকে ইলেকট্রনিক কমার্স (Electronic Commerce) বলা হয়। ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটিকে ই-কমার্স বলে ।

আরও পড়ুন :  তেলিয়াপাড়া বাংলাের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

খ. শীতলীকরণ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া পদ্ধতি হচ্ছে ক্রায়োসার্জারি ক্রায়োসার্জারি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যুগুলোকে ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারিতে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করতে নাইট্রোজেন গ্যাস বা আর্গন গ্যাস হতে উৎপাদিত চরম ঠান্ডা বাহ্যিক ত্বকের চামড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

সাধারণত টিউমারের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়।

গ. উদ্দীপকে সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সিং।

আরও পড়ুন :  ভাষা আন্দোলন ও বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক সারি ইন্টারঅ্যাকটিভ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি যেগুলো দুই বা ততোধিক অবস্থান হতে নিরবিচ্ছিন্ন দ্বিমুখী অডিও এবং ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে একত্রে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ দেয়।

ভিডিও কনফারেন্সিং এর সুবিধা হচ্ছে-

১. একই জায়গায় না এসে বিভিন্ন স্থানের একদল মানুষ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
২. বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন দল এক জায়গায় না এসে এ সভায় অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৩. বিভিন্ন জায়গা থেকে সভায় অংশগ্রহণ করা যায় বলে যাতায়াতের প্রয়োজন হয় না ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময় অপচয় হয় না।
৪. ভিডিও কনফারেন্সিংটি রেকর্ড করে রাখা যায়, ফলে যে কোনো সময় তা আবার দেখা যায়।

আরও পড়ুন :  সেরা যে ৫টি Apps আপনাকে ইংরেজী শিখতে সাহায্য করবে

ঘ. উদ্দীপকে কম সময়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতির প্রাধান্য দেয়া বেশি যুক্তিযুক্ত।
মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নির্ণয় করার সময় আলোর পার্থক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। তাছাড়া চুলের স্টাইল, দাড়ি গোফ পরিবর্তন, মেকআপ ব্যবহার, গহণা ব্যবহারের কারণে মুখমন্ডল সনাক্তকরণের কাজ ব্যাহত হয় ।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিতে কাউকে সনাক্তকরণের জন্য খুবই কম সময় লাগে। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ডিভাইসের দাম কম তাই এই পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ তুলনামূলক কম কিন্তু সফলতার হার প্রায় শতভাগ। অর্থাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষের আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতির প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

Leave a Reply