কূটনীতিকগণ কর্মরত অবস্থায় কোনাে দেশে কি ধরনের সুবিধাদি ও দায়মুক্তি (Immunities) পেয়ে থাকেন?

কূটনীতিকগণ কর্মরত অবস্থায় কোনাে দেশে কি ধরনের সুবিধাদি ও দায়মুক্তি (Immunities) পেয়ে থাকেন?

কূটনৈতিক মিশন, কূটনীতিক ও তার পরিবারের সদস্যরা এবং নির্ভরশীলরা বিদেশে অথবা স্বাগতিক দেশে ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস (১৯৬১)-এর আওতায় দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে কতিপয় বিশেষ সুবিধা ভােগ করেন। যেমন— মিশন অফিস ও রাষ্ট্রদূতের বাসা অনতিক্ৰমণীয়।

পূর্ব অনুমতি ছাড়া এসব স্থানে বা অন্যান্য স্বদেশভিত্তিক প্রশাসনিক ও কারিগরি স্টাফদের বাসায় (বিশেষ করে স্বাগতিক দেশে ) প্রবেশ করা যায় না। তারা যে রাষ্ট্রে নিয়ােগ প্রাপ্ত হন, তাদের উপর সে রাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ার থাকে না। কোনাে গুরুতর অভিযােগে অবাঞ্ছিত (Persona non grata) ঘােষণা করে বহিষ্কার করা যেতে পারে কিন্তু তারা জেল জরিমানা হতে মুক্ত থাকবেন।

আরও পড়ুন :  বিসিএস প্রস্তুতি (BCS Preparation) বাংলা সাহিত্য

তাদের স্বদেশে প্রেরিত ও তাদের কাছে স্বদেশ থেকে আগত কোনাে চিঠিপত্র, দলিল ইত্যাদি স্বাগতিক রাষ্ট্রের কারাে খােলার বা পরীক্ষা করার কোনাে অধিকার নেই। কূটনীতিক বাসভবনে বা দপ্তরে কোনাে প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি বা তল্লাশি চালানাে যায় না। মিশন ও কূটনীতিকরা সবধরনের কাস্টমস ডিউটি, ট্যাক্স, পৌরকর ইত্যাদি পরিশােধ থেকে মুক্ত থাকবেন। উল্লেখ্য, এ ধরনের।

আরও পড়ুন :  সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ

বিশেষ আইনগত সুবিধা তারাই ভােগ করবেন যারা গ্রহণকারী রাষ্ট্রে কূটনৈতিকদের মর্যাদার অধিকারী হবেন অথবা যারা তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ট্রানজিট করে দেন কর্মস্থল থেকে ফেরা বা যােগদানের পথে।

অধিকন্তু যদি একজন কূটনীতিককে একটি বাধ্যবাধকতাকে লঙ্ঘন করতে দেয়া যায় যা স্বাগতিক দেশের দেওয়ানি আইনের আওতায় পড়ে এবং কূটনৈতিক দায়মুক্তি দাবি করে সেক্ষেত্রে স্বাগতিক রাষ্ট্র প্রেরণকারী রাষ্ট্রকে সংশ্লিষ্ট কূটনীতিক কর্তৃক পালনীয় বাধ্যবাধকতা পূরণে চাপ প্রয়ােগ করতে পারে। কোনাে বিশেষ ক্ষেত্রে প্রেরণকারী দেশ সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকের দায় মুক্তি প্রত্যাহার করতে পারে।

আরও পড়ুন :  প্রাচীন বাংলার জনপদ | বাংলাদেশের ভৌগােলিক বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব

Leave a Reply