অন্যান্য

ঘরে কি ওষুধ রাখা উচিত্ ও এর ব্যবহার বিধি

ঘরে প্রয়ােজনীয় কিছু ওষুধ রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যদি ঠাণ্ডা লাগে সামান্য জ্বর আসে , তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু অনেকেই ওষুধ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে তাদের ভালাে চিকিৎসা হয় না, এমনকি নিজের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী অনেক ক্ষতি ডেকে আনে তারা। তাহলে পরিবারের কি ধরণের ওষুধ এবং কিভাবে ওষুধপত্র রাখা উচিত ? ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম আমরা কিভাবে জানতে পারি?

সাধারণ মানুষের কাছে জ্বরের ওষুধ বেশি থাকে। অন্য ওষুধ বৈচিত্র বেশি বলে খুবই কম থাকে। তাহলে ঘরে কি কি ধরণের ওষুধ রাখা উচিত ? ছােট ওষুধের বাক্সের ব্যাপারে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

প্রথমত, ঘরে ওষুধের পরিমাণ কম এবং ভাল, ওষুধ রাখা উচিত্ এক সপ্তাহের বেশি কোনাে ওষুধ রাখা উচিত নয়।

দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সময়, স্থান এবং মানুষের জন্যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রাখলেই চলে ? যেমন, গ্রীষ্মকালে মশার ওষুধ, শীতকালে জ্বরের ওষুধ ইত্যাদি। আরেকটি কথা, বড় শহরের অনেক ওষুধের দকান আছে, এ জন্যে বড় একটি ওষুধের বাক্স রাখার কোনাে দরকার নেই।” এগুলাে ছাড়া, আর কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে?

প্রথমত, পারিবারিক ওষুধের বাক্সটি পরিষ্কার রাখতে হবে। তিন বা ছয় মাসের মধ্যে একবার পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি আরাে কম সময় পর পর করা যায়।

দ্বিতীয়ত, ওষুধ রাখার জায়গাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাগজের বাক্সে ভেতরে ওষুধ রাখা ভাল নয়। কাগজের বাক্সে ওষুধ রাখলে ভেজা ভেজা থাকবে এবং দেরাজে রাখলে সহজেই ময়লা হবে। এ সব ওষুধ খাওয়া উচিত্ নয়। রাখার জন্য ভাল পাত্র হচ্ছে নমনীয় জিনিসের তৈরী ওষুধের বাক্স। রােদ লাগে এমন জায়গা রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু কিছু ওষুধ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। ওষুধ কখনােই শিশুদের নাগবালের ভেতরে রাখা ঠিক না।

তৃতীয়ত, কিছু কিছু লােক ওষুধ রাখার সময় , বাক্সের জায়গা বাড়ানাের জন্য প্যাকেটের বা ভেতরের ব্যবহার বিধি ফেলে দেয়। এটা ঠিক নয়, এতে ওষুধ ব্যবহারের নিয়মটাই দেলে দেওয়া হয়। ব্যবহারবিধি রােগীদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে আইনগত দায়িত্ব । তাই রােগীদের ব্যবহারবিধি মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত।

আমরা সবাই জানি যে , এখন একই ওষুধের অনেক নাম আছে। যেমন , একই ওষুধের বহু নামে আছে, আপনি হয়নি শুধু একটা নাম জানেন।এর ভেতরে কি কি উপাদান আছে ব্যবহারবিধি না পড়লে জানা পারে না, ফলে খেলে সমস্যা হবে।” অনেক সময় না জেনে ভূল ঔষধ খাওয়ার কারনে মৃত্যু পর্যন্ত খটতে পারে।

যে গুলাে কিছু নির্দিষ্ট রােগ ব্যতিত গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হয় । আবার কিছু ঔষধ আছে যে গুলাে খাবারের আগে খেতে হয় যেমন গ্যাষ্ট্রিক কিংবা পেপটিক আলসারের ঔষধ(অমিপ্রাজল,সেকলাে,প্যান্টোনিক্স ইত্যাদি)।

ঠিক বিপরীত কিছু ঔষধ আছে যা খাবারের আগে খাওয়া যায় না, যেমন ব্যাথার ঔষধ (এ্যানালজেসিক -ডাইক্লোফেনাক, কিটোরােলাক,প্যারাসিটেমল ইত্যাদি। এগুলাে অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হয় ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button