ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল তথা সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেড সংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং যােগাযােগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।

দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৫/৬টি জেলার মানুষ আশুলিয়া-নবীনগর-বাইপাইল হয়ে সহজে এবং দ্রুততার সাথে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০টি জেলার আনুমানিক চার কোটি মানুষ এ প্রকল্প। বাস্তবায়নে লাভবান হবে।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য ২৪ কিলােমিটার। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি র্যাম্প বা সংযােগ সড়ক। র্যাম্পগুলাের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলােমিটার। এ প্রকল্পে উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলােমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে।

পাশাপাশি নবীনগর এলাকায় নির্মাণ কা হবে ১.৯৫ কিলােমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার, ২.৭২ কিলােমিটার সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিমি ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল প্লাজা। ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পটি নির্মিত হলে প্রকল্প এলাকার নিকটবর্তী অঞ্চলে শিল্পোন্নয়ন এবং সহজ যােগাযােগ ব্যবস্থার কারণে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি দ্রুততর হবে। ফলে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ দেশের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি সাভার ইপিজেড হতে আশুলিয়া-বাইপাল-আব্দুল্লাহপুর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির সাথে সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরাের তথ্য অনুযায়ী, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা জিডিপিতে ০.২১৭% প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply