গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরল সগ্রাম করেছে তিউনিসিয়ার সংগ্রামী জনতা। পশ্চিমের গণতন্ত্রীরা সেই গণজাগরণের নাম দেয় আরব বসন্ত। আরব বসন্তের নামে যে পরিবর্তনের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায় তা ১১ বছর পরে এসে ব্যর্থ হতে চলেছে।
৯ জুন ১৮৮১ থেকে তিউনিসিয়াফ্রান্সের একটি উপনিবেশ ছিল। ২০ মার্চ ১৯৫৬ এটি স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক তিউনিসিয়ার স্থপতি হাবিব বােরগুইবা দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং ৩০ বছর ধরে দেশটির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর তিউনিসিয়া উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ৭ নভেম্বর ১৯৮৭ ক্ষমতায় আসেন জাইন এল আবেদিন বেন আলি। দীর্ঘকালীন শাসক হওয়ার কারণে বেন আলি স্বৈরশাসক হয়ে ওঠেন এবং জনপ্রিয়তা হারান।
আরব বসন্তের আন্দোলনের মুখে ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ক্ষমতা ছাড়েন তিনি। ২৫ জুলাই ২০২১ তিউনিসিয়ায় তৈরি হয় এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিশেম মেচিচিকে বরখাস্ত করেন, স্থগিত করেন পার্লামেন্ট।
২৫ জুলাই ২০২২ তথাকথিত গণভােটের নাম করে কায়েস সাঈদ জনগণকে আবার সেই বেন আলির যুগেই প্রবেশ করান। তিউনিসিয়ায় মােট ভােটারের সংখ্যা ৯২.৭৮.৫৪১। গণভােটে অংশ নেন মাত্র ৩০% ভােটার। ২৫ মার্চ ১৯৫৬ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার পক্ষে তিউনিসিয়ার জনগণ প্রথম ভােট দেয়।
সে বছর জনগণের ভােটে প্রথম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও এবারের গণভােটে একনায়কতন্ত্রের লাইসেন্স’ হাতিয়ে নিলেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। আর এ জয়ের ফলে নির্বাহী, আইন প্রণয়ন ও বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে চলে যায়।