১৯০৯ সালের ভারত শাসন আইনের পর থেকে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস দায়িত্বশীল শাসন কায়েমের ওপর জোরালাে দাবি জানায়। ফলে ১৯১৯ সালে মন্টেগু-চেমসফোর্ড ভারত শাসন-সংস্কার আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
১. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা : এ আইনের মাধ্যমে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদ সৃষ্টি করা হয়। উচ্চ পরিষদকে রাষ্ট্রীয় পরিষদ এবং নিম্ন-কক্ষকে ব্যবস্থাপক সভা বলা হয়।
২. প্রদেশে দ্বৈতশাসন : এ আইন দ্বারা প্রদেশে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। প্রাদেশিক বিষয়গুলােকে ‘সংরক্ষিত’ ও ‘হস্তান্তরিত’- এ দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
৩. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: এ আইনের মাধ্যমে প্রদেশগুলােতে স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তিত হয়।
৪. পৃথক নির্বাচন: এ আইন দ্বারা পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হয়।
৫. যুক্তরাষ্ট্রীয় : এ আইনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।
৬. আইনসভার সীমাবদ্ধতা : এ আইনের ফলে আইন পরিষদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রাখা হয়। কর ধার্য ও ব্যয় নির্ধারণের | ক্ষেত্রে গভর্নর জেনারেলের অপরিসীম ক্ষমতা রাখা হয়।
৭. শাসন পরিষদ : গভর্নর জেনারেলকে সহায়তা করার জন্য ৭ (সাত) সদস্যবিশিষ্ট একটি শাসন পরিষদ গঠন করা হয়।
৮. ক্ষমতা বণ্টন: পররাষ্ট্র, দেশরক্ষা, যােগাযােগ, মুদ্রা ইত্যাদি বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হয়। প্রাদেশিক | বিষয়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা, বিচার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি বিষয় প্রাদেশিক সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হয়।
৯. সংসদীয় সরকার : এ আইনে প্রদেশগুলােতে সীমিত আকারে সংসদীয় সরকার-ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
১০. হাইকমিশনার পদ : এ আইনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে “ভারতীয় হাই কমিশনার” পদের সৃষ্টি করা হয়।