প্রযুক্তির মূল কাজটিই হচ্ছে মানুষের সমস্যাগুলাে সমাধান করে জীবন যাপন সহজতর করা । বিসিএস প্রস্তুতিতেও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আপনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন। মনে রাখবেন-অনেক সময়ই সফল পরীক্ষার্থীর সাথে ব্যর্থ পরীক্ষার্থীর ব্যবধান চুল পরিমাণ হয়ে থাকে। অলিম্পিক গেইমস-এ যে ঘােড়াটি দৌড়ে প্রথম হয় সেটি প্রায়শ ফটো ফিনিশিংয়ে নাক পরিমাণ এগিয়ে থাকে দ্বিতীয় স্থানের ঘােড়াটি থেকে। দুটো ঘােড়ার পার্থক্য প্রায়শ এক ইঞ্চির চেয়ে কম হয়ে থাকে। সুতরাং একটু এগিয়ে থাকতে চাইলে একটু বেশি কৌশলী হওয়া লাগবে । অন্যদের চেয়ে একটু বেশি শ্রম দিতে হবে। যেভাবে কাজে লাগাবেন অন-লাইন (Online) প্রযুক্তিঃ
১। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কোন নির্ভরযােগ্য ব্লগের আর্টিক্যালগুলাে পড়তে হবে। ব্লগের আর্টিক্যাল পড়ার সময় নােট খাতায় প্রয়ােজনীয় নােট লিখে রাখুন। এই নােট নেওয়া ও নােটসগুলাে রিভিশন দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বের করতে হবে।
২। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভালাে কোন এন্ড্রয়েড (Android) এপ্স-এর সহযােগিতা নিতে পারেন। কোন বিসিএস কর্মকর্তার তৈরি করা মােবাইল অ্যাপস হলে মডেল টেস্টের তথ্যের কোয়ালিটি ও শুদ্ধতা অনেক মান সম্মত হবে। যাচাই করে মােবাইল অ্যান্সের মাধ্যমে মডেল টেস্টে অংশ নিন । সংবিধান, পরিসংখ্যান ব্যুরাের পরিসংখ্যান বিষয়ক তথ্য, ইংরেজি ও বাংলা ভােকাবিউলারির উপর ভালাে এন্ড্রয়েড অ্যাপস আছে । গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিন ।
৩। বিসিএস কর্মকর্তা ও পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে কয়েকটি ভালাে কমিউনিটি ও ফেসবুক ফোরাম আছে। ফোরামের পােস্টগুলােতে আলােচনায় অংশ নিন, প্রশ্ন করুন ও ভালাে তথ্য সংগ্রহে থাকলে পােস্ট করুন। জানা বিষয় পােস্ট করলেও আপনার অনেক ফায়দা হবে। তাবলীগ জামাতের লােকেরা দাওয়াত দেওয়ার সময় বলে থাকেন-“আপনাকে ঈমানী দাওয়াত দিলে আমার নিজের ঈমান অনেক পােক্ত হবে” । তাই আপনার জানা তথ্যগুলাে অন্যকে জানালে আপনার নিজের জানাটা আরও স্পষ্ট হবে।