প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নেই

Preparation BD
By -
0

প্লাস্টিক দূষণ হলাে পরিবেশ কর্তৃক প্লাস্টিক পদার্থের আহরণ যা মাটি, পানি, বায়ুমণ্ডল, জীববৈচিত্র্য ও মানবস্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। নিয়মিত প্লাস্টিক পদার্থের ব্যবহার প্লাস্টিক দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। পলিথিন ব্যাগ, কসমেটিক প্লাস্টিক, গৃহস্থালির প্লাস্টিক ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যের বেশিরভাগই পুনঃচক্রায়ন হয় এবং এগুলাে পরিবেশে পচতে অনেক সময় লাগে।

প্লাস্টিক বর্জ্য পােড়ানাের ফলে ২০১৯ সালে বায়ুমণ্ডলে ৮.৫ কোটি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড যােগ হয়। প্লাস্টিক দূষণ মানবদেহে ক্যান্সার, এ্যাজমা, হরমােনজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রােগ তৈরি করে। আমাদের পানীয় জলের শতকরা ৮০ ভাগ মাইক্রো ও ন্যানাে প্লাস্টিকের কণা দ্বারা দূষিত। এসব অদৃশ্য প্লাস্টিকের কণা ও প্লাস্টিক নিঃসৃত বিষাক্ত দ্রব্যাদি খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তােলে।

প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে সামুদ্রিক প্রতিবেশ। প্লাস্টিক দূষণের ফলে প্রতি বছর ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখি এবং ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী মৃত্যুবরণ করে। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, বর্তমানে সমুদ্রে ৫.২৫ ট্রিলিয়ন মাইক্রো ও ম্যাক্রো প্লাস্টিকের কণা জমা হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, যদি দূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকে তবে ২০৪০ সাল নাগাদ সমুদ্রে ভাসমান।

এসব প্লাস্টিকের ওজন সমুদ্রে থাকা মাছের সমষ্টিগত ওজনকেও ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে সমুদ্র থেকে আহরিত প্রতি তিনটি মাছের মধ্যে ১টি মাছের পেটে প্লাস্টিকের দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছ।

বাংলাদেশে ২০০২ সালে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন পাস করা হয়। সম্প্রতি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেয় সরকার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !