নারী শব্দটি শুনতে ছোট হলেও এর ভাবার্থ ব্যাপক। একজন নারী তার দু হাত দিয়ে যেমন কোলের ছোট্ট শিশুটিকে বড় করে তোলেন তেমনি একজন নারী তার এই হাত দিয়ে আজ বিশ্ব সামলাচ্ছেন। পুরুষের পাশাপাশি আজ সমান তালে পা মিলিয়ে চলছে নারীরা।কেবল নিজের সংসারেই নয়, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সকল খাতে তাদের স্বাক্ষরতার দৃষ্টান্তে যেন চোখ আটকে যায়।
তবে হতাশার কথা হচ্ছে, দেশ উন্নয়নের ৫০ বছরেও আজ এদেশের নারীরা নিরাপদ নয়।নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, যৌতুক ও বাল্যবিবাহের মত নিকৃষ্ট ঘটনা আজও হরহামেশা ঘটছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।
প্রথম ১৯০৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। ওই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আমেরিকায় নারী দিবস (National Woman’s Day) উদযাপন করা হয়েছিল। সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা নিউ ইয়র্কে ১৯০৮ সালে বস্ত্রশ্রমিকরা তাঁদের কাজের সম্মান আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু করেন। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ আর সমমানের বেতনের দাবিতে চলে হরতাল। ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনের উদ্যোগের পর, ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইৎজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস চিহ্নিত হয়েছিল।
আরো পড়ুন
- ক্লিফ অব মােহর সম্পর্কিত তথ্য
- বিশ্বের ৯টি আশ্চর্যজনক ঘটনা
- পুলিৎজার পুরস্কার ২০২২
- জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২
- রিজার্ভ চুরির মামলায় দুই প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি
- ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি
- ডায়াবেটিসের নতুন কারণ
- দারকিনা মাছের প্রজনন উদ্ভাবন
- পদ্মার পাড়ে শেখ রাসেল সেনানিবাস
- বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগাে মিউজিয়াম
নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্যের অবসানের জন্য প্রতিবাদ করেন লক্ষ মানুষ। একই সঙ্গে রাশিয়ান মহিলারাও প্রথমবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। ইউরোপের নারীরা ৮ মার্চ শান্তি বিষয়ক কার্যক্রমকে সমর্থন করে বিশাল মিছিলে নামেন। ১৯১৩-১৯১৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর একটি প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সাম্যের উদ্দেশ্যে কাজের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।