সিরাজউদ্দৌলা নাটক থেকে এসএসসি পরীক্ষায় আসার মত ৫ টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হল।আশা করছি যারা এসএসসি পরীক্ষার্থ আছো তাদের কাজে আসবে।
১। মধুমতি নদীতে জেগে উঠেছে চান্দের চর। পলিময় উর্বর সেই ভূমি, দেখলে যে কারওই চোখ টাটায়। মন্তু মিয়াও এর বাইরে নয়। কিন্তু এলাকার প্রবল প্রতাপশালী জমিদারের সঙ্গে লড়বে কে? মন্তু মিয়া তাই গোপনে হাত মেলায় জমিদারের জাতি ভাই গজনবী চৌধুরীর সঙ্গে। তার সহায়তায় মন্তু মিয়া এবং তার লাঠিয়াল বাহিনী চরটি দখল করে নেয়। এবার মন্তু মিয়ার নতুন চরের দায়িত্ব নেওয়ার পালা। সে গজনবী চৌধুরীর উপস্থিতি ও দোয়া ছাড়া চান্দের চরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এভাবেই নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চর চিরকালের জন্য জমিদারের হাতছাড়া হয়ে যায়।
ক. সিরাজউদ্দৌলার শ্বশুরের নাম কী?
খ. ‘আমার নালিশ আজ আমার নিজের বিরুদ্ধে’ বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের মন্তু মিয়ার সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের মিরজাফর চরিত্রের তুলনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের বেদনাবহ পরিণতির খণ্ডিত চিত্র। তোমার মতামত দাও।
২। পলাশপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সবকটি যুদ্ধাভিযানে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। পাক সেনাদের কুপোকাত করে নিজের এলাকা সুরক্ষিত রেখেছে। রুস্তম আলীর জ্ঞাতি ভাই কাশেম আলী একজন দেশদ্রোহী, একজন বিশ্বাসঘাতক রাজাকার। রুস্তম আলী অনেক বুঝিয়েও তাকে সুপথে আনতে পারেনি। একদিন কাশেম আলী সুকৌশলে রুস্তম আলীকে ধরিয়ে দেয় পাক সেনাদের হাতে।
ক. কোন ফরাসি সেনাপতি পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে যুদ্ধ করেন?
খ. ‘আমার শেষ যুদ্ধ পলাশিতেই কে, কোন প্রসঙ্গে বলেছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আপনজনের দ্বারা ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও রুস্তম আলী – মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
৩। এই পবিত্র বাংলাদেশ
বাঙালির আমাদের
দিয়া প্রহারেণ ধন্ঞ্জয়
তাড়াব আমরা করি না ভয়
যত পরদেশি দস্যু ডাকাত
রামাদের গামাদের।
বাংলা বাঙালির হোক; বাংলার জয় হোক।
ক. কাকে আলিনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করা হয়েছে?
খ. ‘তার নবাব হওয়াটাই আমার মস্থ ক্ষতি’ উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।
গ. উদ্দীপকের পরদেশি দস্যু ডাকাত ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কাদের নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি নাটকের খণ্ডিত চেতনার প্রতীক’ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
৪। আসিফ সাহেব একজন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মরণঘাতী ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তিনি দেশের মানুষের মন জয় করলেও কিছু মানুষের কাছে তিনি ঘোর শত্রু। কারণ তিনি তাদের অবৈধ উপার্জনের পথে বাধাস্বরূপ। অভিযান চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হলেও কখনো মনোবল হারাননি। জীবনের শেষ শক্তি দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের নীরব মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য বদ্ধপরিকর।
ক. ক্লাইভের আসল দলিলে কার রেফারেন্স থাকবে না?
খ. ‘শুভকাজে অযথা বিলম্ব করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।’ উক্তিটি কার? কোন কাজের কথা বলা হয়েছে? বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকের আসিফ সাহেবের মতো ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের একটি সাহসী চরিত্রের বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘পেছন থেকে আক্রমণের সুযোগ দিলে মৃত্যুর হাত থেকে পালানো যায় না।’ উদ্দীপক ও নাটকের আলোকে এ কথার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
৫। পাকিস্তানি শাসকবর্গ দীর্ঘ চব্বিশ বছর বাঙালিদের উপর শাসন, শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এবং দেশ স্বাধীন করেছে। দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু বহুবার জেল খেটেছেন। ১৯৭৫ সালে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দেশপ্রেমিক এই মহান নেতাকে হত্যা করে।
ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের প্রম সংলাপটি কার?
খ. ‘সিরাজ আমার কেউ নয়’ ঘসেটি বেগম কেন একথা বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেমের বিষয়টি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রের সাথে অধিকতর সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের স্বার্থান্বেষী মহলের ভূমিকা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।