ফ্লাইওভার, উড়ালপথ, মেট্রোরেলের পর যানজট নিরসনে রাজধানীতে পাতাল রেলপথ (সাবওয়ে) ; নির্মাণের মহাপরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০৫০ সালের মধ্যে ১১টি পথে ২৫৮ কিলােমিটার পাতাল। রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্য খরচ ধরা হয় ৮,৮৬,২০৫ কোটি টাকা।
পাতাল রেলে ভিত্তি ভাড়া ২২ টাকা ৬০ পয়সা এবং পরবর্তী প্রতি কিলােমিটারের জন্য দুই টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সমীক্ষা যাচাই । বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (BBA) নেতৃত্বে স্পেনের প্রতিষ্ঠান টেকনিকা ওয়াই প্রয়েক্টস এস এ (টিপসা), জাপানের পাডেকো, বিসিএল অ্যাসােসিয়েটস, কেএসসি এবং বেটস যৌথভাবে সাবওয়ের সমীক্ষা করেছে।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৯০ কিলােমিটার সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়নে ২১৯ কোটি টাকার চুক্তি হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৯, ২০৩৯ এবং ২০৪৯ সাল এ তিন ধাপে সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ২২.৮৯ কিলােমিটার রুট-বি (গাবতলী-বসুন্ধরা), ৩৪.৯২ কিলােমিটার রুট-ও (টঙ্গী-ঝিলমিল), ২৫.২২ কিলােমিটার রুট-এস (কেরানীগঞ্জ-কাঁচপুর) এবং ৪৫.১১ কিলােমিটার রুট-টি (নারায়ণগঞ্জউত্তরা সেক্টর-১৩) নির্মাণ করা হবে।