ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নের ধরন ও উত্তর লেখার কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. পার্ট—এ: রিডিং টেস্ট
প্রথম অংশে (পার্ট-এ) ৩০ নম্বর থাকবে। এই অংশকে রিডিং টেস্ট বলা হয়। এই অংশে ৩টি জানা (পাঠ্যবই সম্পৃক্ত) প্যাসেজ থাকবে। এই অংশ থেকে ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্রশ্ন থাকবে।
ক. প্রথম জানা অনুচ্ছেদ (পাঠ্যবই সম্পৃক্ত): এই অনুচ্ছেদ থেকে প্রশ্ন থাকবে ১ এবং ২ নম্বর। প্রশ্ন নম্বর ১-এ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে। ৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের প্রতিটিতে ৪টি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া থাকবে। বিকল্প উত্তরগুলোর মধ্য থেকে সর্বাপেক্ষা সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে হবে। বাছাই করা উত্তরটি উত্তরপত্রে লিখবে।
২ নম্বর প্রশ্ন: এই প্রশ্নের মাধ্যমে তোমাদের স্মৃতিশক্তি যাচাই করা, অনুধাবন করার ক্ষমতা, সৃষ্টিশীলতা, তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের ক্ষমতা ইত্যাদি দেখা হয়। যথাযথভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে হবে। উত্তরে নিজস্বতা থাকবে। প্রদত্ত প্যাসেজ থেকে সরাসরি বাক্য তুলে দিয়ে উত্তর লেখার চেষ্টা করবে না।
খ. পাঠ্যবই সম্পৃক্ত দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: এই অনুচ্ছেদ থেকে প্রশ্ন নম্বর ৩ এবং ৪ থাকবে।
প্রশ্ন নম্বর ৩: পাঠ্যবই সম্পৃক্ত দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে ১০টি শূন্যস্থানসহ একটি প্যারাগ্রাফ থাকবে। কোনো ক্লু থাকবে না। উত্তরপত্রে ধারাবাহিকভাবে শুধু উত্তরগুলো লিখবে। প্রদত্ত প্যাসেজ বা প্যারাগ্রাফটির পূর্ণলিখন করবে না।
প্রশ্ন নম্বর ৪: পাঠ্যবই সম্পৃক্ত অনুচ্ছেদ-২ থেকে এই প্রশ্নও থাকবে। এটি হচ্ছে ম্যাচিং। কাজটিকে জটিল করতে এই প্রশ্নে ৩টি কলাম থাকবে। প্রতি কলামে ৪টি বাক্যাংশ থাকবে। ৩টি কলাম থেকেই বাক্যাংশ নিয়ে ৪টি বাক্য তৈরি করতে হবে। বাক্যগুলো অর্থপূর্ণ হতে হবে।
পাঠ্যবই সম্পৃক্ত ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ: এই অনুচ্ছেদ অবলম্বনে ৫ এবং ৬ নম্বর প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
৫ নম্বর প্রশ্ন: এই প্রশ্নে ইনফরমেশন ট্রান্সফার আসবে। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন আঙ্গিকে তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। ৬টি শূন্যস্থান দেওয়া থাকবে। সেগুলোকে যথাযথ তথ্যের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
৬ নম্বর প্রশ্ন: তৃতীয় পাঠ্যবই সম্পৃক্ত প্যাসেজ অবলম্বনে সারমর্ম লিখবে। সারমর্ম লিখবে পরোক্ষ উক্তি ব্যবহার করে। নিজস্ব শব্দমালা প্রয়োগ করবে। মূলভাব বুঝে এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বাক্যগুলো শনাক্ত করবে। শনাক্ত করা বাক্যগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় শব্দসমূহ নিয়মানুযায়ী বাদ দেবে। জটিল ও যৌগিক বাক্যগুলোকে সরল বাক্যে পরিণত করবে। প্রদত্ত প্যাসেজের বাইরের কোনো বিষয় সারমর্মে অন্তর্ভুক্ত করবে না। তাহলে তা প্রাসঙ্গিকতাবর্জিত বলে গণ্য হবে।
২. পার্ট-বি-রাইটিং পার্ট:
এই অংশের জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। এই অংশে ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর প্রশ্ন থাকবে।
৭ নম্বর প্রশ্ন: এ ক্ষেত্রে ১টি প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে। ১টি বিষয়কে কেন্দ্র করে কয়েকটি প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখার মাধ্যমে ১টি প্যারাগ্রাফ লিখতে হবে।
৮ নম্বর প্রশ্ন: এই প্রশ্নে একটি ই–মেইল লিখতে বলা হবে। বাস্তবজীবনের ই-মেইলের আদলে এখানেও ই-মেইল লিখতে হবে। প্রেরকসহ প্রাপকের ই-মেইল লিখতে হবে। প্রেরক ও প্রাপকের ই–মেইল ঠিকানা, বিষয়, তারিখ ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখবে। ই-মেইলের কনটেন্ট যেন সুন্দর ও প্রাসঙ্গিক হয়, তা খেয়াল রাখবে।
৯ নম্বর প্রশ্ন: এই প্রশ্নে একটি ডায়ালগ লিখতে হবে। দৈনন্দিন জীবন ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একটি ডায়ালগ (দ্বৈত-বচন) লিখতে হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেওয়া থাকবে, জীবনঘনিষ্ঠ যেকোনো বিষয়, যা সবারই জানা।
ডায়ালগ লেখার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। শুধু হাই, হ্যালো, ইয়েস, নো, থ্যাংক ইউ, থ্যাংকস, ওয়েলকাম, সি ইউ বাই ইত্যাদির সমাহারকেই ডায়ালগ বলে না। বরং এগুলো বর্জন বা কম ব্যবহার করবে।
ডায়ালগে পূর্ণ প্রশ্ন বাক্য ও সেগুলোর উত্তর থাকতে হবে। অনেকগুলো বক্তব্য বিনিময় থাকবে। অনেকগুলো পূর্ণ বাক্য থাকবে। প্রশ্নবাক্য ও উত্তরবাক্য থাকবে। ডায়ালগটি যেন বাস্তবজীবনের ডায়ালগের মতোই হয়, তা খেয়াল করবে।