দ্য ক্লিফ অব মােহর বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক ও হৃদয়স্পর্শী পর্যটন কেন্দ্র। আটলান্টিক মহাসাগরের পাশে এটি আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত। পর্যটন পার্কিং লট ক্লিফ অব মােহর থেকে বেশি দূরে নয়। পাশেই বাধানাে রয়েছে হাঁটার রাস্তা এবং পাথরের ধাপ এমনকি কোমর সমান পাথরের দেয়াল। হাটার রাস্তাটি চলে গেছে ক্লিফের শেষ উচ্চতায়। যেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এককথায় মৃত্যুর পথ এখান থেকেই শুরু। অধিক উচ্চতা, তীব্র বাতাসের বেগ, কখনাে অধিক উষ্ণতা ও অতিরিক্ত বৃষ্টি ক্লিফের পথকে করে তােলে বিভীষিকাময়। পাথরের সুড়কি আর মসৃণ এ হাঁটার পথটি সাধারণ পথের মতাে নয়।
২০০৬ সালে এক নারী পাহাড়ের ওপরে ওঠার সময় নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ২০০৭ সালের ঘটনা, ২৬ বছর বয়সি এক নারী তার চার বছরের সন্তানসহ ১৮০ মিটার (প্রায় ৬০০ ফুট) ক্লিফের ওপর থেকে লাফ দেয়।
এসব ঘটনার পরই সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি করা হয়। তখন থেকেই সুন্দর ক্লিফ অব মােহরকে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে ঘােষণা করা হয়। নানাজনের নানা মতের ফলে, একপ্রকার রহস্যের ধূম্রজাল তৈরি হয় এ ক্লিফ মােহরকে নিয়ে।
এখানে যারা ঘুরতে যায় তাদের বেশির ভাগই পাহাড় থেকে লাফ দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই যায়। বলে মনে করা হয়। ২০১০ সালে প্রাকৃতিক বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে দ্য ক্লিফ অব মােহরকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়।