ইউরােপের খরা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা European Drought Observatory (EDO) ২০২২ সালের আগস্টে Drought in Europe শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয় গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়ে ইউরােপ।
এ বছরের শুরু থেকে ইউরােপের অনেক অঞ্চলে তীব্র খরা দেখা দেয়। আগস্টের প্রথম দিকে আরও নতুন নতুন এলাকায় খরা দেখা দেয় এবং তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এ মহাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা বা সতর্কতা জারি করা হয়।
পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জাহাজ চলাচল, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বেশকিছু ফসল উৎপাদন কমে গেছে। ইউরােপ মহাদেশের ৪৭% অঞ্চল সতর্ক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এসব অঞ্চলের মাটির আর্দ্রতা দারুণভাবে কমে গেছে এবং শাকসবজি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
খরা কী
খরা (Drought) দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হয়। বাস্পীভবনও প্রস্বেদনের পরিমাণ বৃষ্টিপাতের চাইতে বেশি হলেই এমনটি ঘটে।
খরার সময় উক্ত অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং কুয়া, খাল, বিল শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যবহার্য পানির অভাব দেখা দেয়। নদী প্রবাহ হাস পায়, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নিচে নেমে যায় ও মাটির আর্দ্রতায় ঘাটতি দেখা দেয়, ক্ষেতের ফসল শুকিয়ে শস্য বিপর্যয় ঘটে এবং গবাদিপত্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়।