সব মিলিয়ে ৮৫টি চিঠি। বেশির ভাগ বাংলায় লেখা। এবং কোনাে কোনােটা ইংরেজিতে। বাংলা চিঠির কোনােটাতে আবার ভাষা ঠিক নেই, বানান ভুল, মাঝেমধ্যে সাধু-চলিতের মিশেল, কখনাে বাক্য অসম্পূর্ণ। তবে ভাষা বা প্রকাশভঙ্গি যা-ই হােক, ব্যক্তিগত দুঃখ ছাপিয়ে চিঠিগুলাের ছত্রে ছত্রে জড়িয়ে আছে একটি দেশের জন্মকথা।
সারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে একাত্তরের ৯ মাসজুড়ে প্রিয়জনদের এসব চিঠি লিখেছিলেন মুক্তিযােদ্ধারা। তিন যুগের বেশি সময় ধরে যক্ষের ধনের মতাে এগুলাে আগলে রেখেছিলেন তাঁদের নিকটজনেরা। লেখার ৩৮ বছর পর ২০০৯ সালে সেগুলাে পরম বিশ্বাসে প্রথম আলাে আর গ্রামীণফোনকে তুলে দেন তাঁরা।
এত দিন যা ছিল একান্তই ব্যক্তিগত দুঃখের স্মারক, এই প্রথম সেগুলােকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তারা, করে তুললেন জাতীয় স্মৃতির অংশ। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই চিঠিগুলাে? এ ৮৫টি চিঠি আসলে তুলে ধরেছে সারা দেশের যন্ত্রণা, ত্যাগ আর স্বপ্ন। বাঙালির ইতিহাসে একাত্তর যে কী ছিল, এসব চিঠি পড়লে সরাসরি আভাস পাবেন পাঠক।
বহু ইতিহাস বই মিলে যা করতে পারে না, এ ধরনের একটি বই-ই তা করতে পারে। যুগ যুগ ধরে এমনটিই করে আসছে ‘অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’ বা জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’র মতাে বই। একাত্তরের চিঠি’র অসম্ভব গুরুত্ব ঠিক এখানেই। এ বই দিয়েই ২০০৯ সালের ২৭ মার্চ যাত্রা শুরু করে প্রথমা প্রকাশন।
১৩ বছরের মাথায় সেই বইয়ের আজ সুবর্ণ সংস্করণ প্রকাশ করছে। প্রথমা। নন-ফিকশন বই চলে না— এ ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে ‘একাত্তরের চিঠি’। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে বইটির দেড় লাখ কপি। এই বিপুল বিক্রিই প্রমাণ করে, বাঙালির হৃদয়ে এখনাে কী গভীরভাবে গ্রথিত হয়ে আছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার (১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২-২৪ আগস্ট ২০২২) সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই। ৮০ বছর বয়সে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ২৪ আগস্ট ২০২২ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাহবুব তালুকদার ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।