বিসিএস প্রস্তুতির প্রাককথন

Preparation BD
By -
0

বিসিএস প্রস্তুতির প্রাককথন নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিসিএস প্রস্তুতি দিতে চান আমি মনে করি বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করার আগে অবশ্যই এই লেখাটি পড়া উচিত। তো চলুন দেরি না করে লেখাটি পড়ে নেয়া যাক-

বিসিএস (BCS) সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BSC) কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তর : সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন : BPSC’র পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : Bangladesh PublicService Commission.

প্রশ্ন : ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয় কবে?
উত্তর : ১৯২৬ সালে।

প্রশ্ন : বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় কখন?
উত্তর : ১৯৩৭ সালে।

প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠিত হয় কবে?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে।

প্রশ্ন : সরকারি কর্ম কমিশন (প্রথম) এবং সরকারি কর্ম কমিশন (দ্বিতীয়) গঠন করা হয় কবে?
উত্তর : ৮ এপ্রিল ১৯৭২; রাষ্ট্রপতির ৩৪ নং আদেশবলে ।

প্রশ্ন : দুটি কমিশনের স্থলে একটি কমিশন স্থাপন করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয় কবে?
উত্তর : ১৯৭৭ সালের নভেম্বর মাসে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন নামকরণ করা হয় কবে?
উত্তর : ২২ ডিসেম্বর ১৯৭৭।

প্রশ্ন : BISC’র সচিবালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :আগারগাঁও, ঢাকা।

প্রশ্ন : বর্তমানে বিসিএস ক্যাডারের সংখ্যা কত?
উত্তর : ২৬টি।

প্রশ্ন : BISC’র প্রধানের পদবি কী?
উত্তর : চেয়ারম্যান।

প্রশ্ন : কতজন সদস্য নিয়ে BPSC গঠনের বিধান রয়েছে?
উত্তর : চেয়ারম্যানসহ ন্যূনতম ৬ জন ও সর্বোচ্চ ১৫ জন।

প্রশ্ন : BSC’র চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে নিয়ােগ দেন কে?
উত্তর : রাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন : BSC’র চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে শপথ পড়ান কে?
উত্তর :প্রধান বিচারপতি।

প্রশ্ন : BPSC’র চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল কত?
উত্তর : দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর অথবা বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এ দুয়ের মধ্যে যেটি আগে ঘটবে সে পর্যন্ত স্বপদে আসীন থাকবেন।

প্রশ্ন : BIS’র চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কীভাবে অপসারিত হন?
উত্তর : রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করে কিংবা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অপসারণের আদেশ জারির মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি সরাসরি তাদের অপসারণ কতে পারেন না।

প্রশ্ন : বিভাগের মর্যাদা দিয়ে BISC সচিবালয় গঠন করা হয় কবে?
উত্তর : ১৯৮৯ সালে।

প্রশ্ন : BPSC কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
উত্তর : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (পূর্বে ছিল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়)।

প্রশ্ন : BPSC’র প্রথম চেয়ারম্যান কে?
উত্তর : ড. এ কিউ এম বজলুল করিম।

প্রশ্ন : BISC’র বর্তমান চেয়ারম্যান কে?
উত্তর : মাে. সােহরাব হােসাইন।

প্রশ্ন : BIS’র প্রথম নারী চেয়ারম্যান কে?
উত্তর : অধ্যাপিকা ড. জিন্নাতুন নেছা (জেড এন) তাহমিদা বেগম।

প্রশ্ন : BISC’র আঞ্চলিক কেন্দ্র কতটি?
উত্তর : ৭টি।

প্রশ্ন : BISC’র বর্তমান নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তর : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩।

প্রশ্ন : সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুসারে কর্ম কমিশন গঠিত?
উত্তর : ১৩৭নং।

প্রশ্ন : BSC সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে * বর্ণিত রয়েছে?
উত্তর : ১৩৭-১৪১নং অনুচ্ছেদে।

৮ এপ্রিল : বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা দিবস।
২৩ জুন : আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস।
২৩ জুলাই : জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস।

BSC’র আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠা

রাজশাহী১৯৭২সিলেট১০ মে ১৯৯৭
চট্টগ্রাম১৯৭২রংপুর১৩ মার্চ ২০১৩
খুলনা১৯৭২বরিশাল১০ মে ১৯৯৭
ময়মনসিংহ২০১৬

বর্তমান ২৬ ক্যাডার

পররাষ্টতথ্যস্বাস্থ্য
প্রশাসনডাকপশুসম্পদ
পলিশরেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকজনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল
আনসারকরগণপূর্ত
নিরীক্ষা ও হিসাববাণিজ্যরেলওয়ে প্রকৌশল
সমবায়কৃষিসড়ক ও জনপথ
শুল্ক ও আবগারিমৎস্যপরিসংখ্যান
পরিবার-পরিকল্পনাবনকারিগরি শিক্ষা
খাদ্যসাধারণ শিক্ষা

ক্যাডার বিন্যাস

১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০১৪ ১৬ মার্চ ১৯৯২২৯
১৪ মে ১৯৮২২৮১ নভেম্বর ২০০৭২৮
২০ আগস্ট ১৯৮৫২৯১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪২৭
৩১ আগস্ট ১৯৮৬৩০১৩ নভেম্বর ২০১৮২৬
প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের পর সিভিল অফিসার নিয়ােগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস (প্রথম) কমিশন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ৫০ জন (Lawyer) ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ইতিহাসের প্রথম নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি ১২ জুন ১৯৭২ তারিখে প্রকাশ করে, যা ১৫ জুন ১৯৭২ তারিখে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি

বিসিএস (বয়স, যােগ্যতা ও সরাসরি নিয়ােগের জন্য) বিধিমালা- ২০১৪- এর বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে উপযুক্ত প্রার্থী মনােনয়নের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্ম কমিশন নিমােক্ত ৩ স্তর বিশিষ্ট নিয়ােগ পরীক্ষা গ্রহণ করে।

প্রথম স্তর : MCQ

শূন্য পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা বিপুল হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই-এর জন্য বিসিএস বিধিমালা-২০১৪-এর বিধি-৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করে থাকে। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করা হতাে। বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা ২০১৪ এর বিধানমতে, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা সময়ে ১০টি বিষয়ের ওপর MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্টগ্রহণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।

বিষয়ের নামনম্বর
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য৩৫
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য৩৫
বাংলাদেশ বিষয়াবলি৩০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি২০
ভূগােল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা১০
সাধারণ বিজ্ঞান১৫
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি১৫
গাণিতিক যুক্তি১৫
মানসিক দক্ষতা১৫
নৈতিকতা, মূল্যবােধ ও সুশাসন১০
মােট২০০

টেস্টে যে সকল প্রার্থী English Version প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের অনলাইন ফরমে Question type option-এর বক্স-এ টিক চিহ্ন দিতে হবে। কোনাে প্রার্থী প্রিলিমিনারি টেস্টে English Version প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দ্বিতীয় স্তর : লিখিত পরীক্ষা

প্রিলিমিনারি টেস্ট-এ কমিশন কর্তৃক কৃতকার্য ঘােষিত প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। নির্ধারিত শিক্ষাগত যােগ্যতা অনুযায়ী ২৬টি ক্যাডার সাধারণ ক্যাডার এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার এ দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত— ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা; খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

বিষয়ভিত্তিক নম্বর বন্টন

ক. সাধারণ ক্যাডার
বাংলা২০০
ইংরেজি২০০
বাংলাদেশ বিষয়াবলি২০০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি১০০
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা১০০
সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি১০০
  মোট৯০০
খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার
বাংলা১০০
ইংরেজি২০০
বাংলাদেশ বিষয়াবলি২০০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি১০০
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা১০০
পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়২০০
মোট৯০০

পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা

যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পছন্দক্রম দেবেন, তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের ৯০০ নম্বরের মধ্যেই অতিরিক্ত সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।

তৃতীয় স্তর : মৌখিক পরীক্ষা

বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%।

সাক্ষাৎকার বাের্ড গঠন

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপযুক্ততা নির্ধারণের জন্য বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালার বিধান অনুযায়ী কমিশন নিম্নোক্তভাবে মৌখিক পরীক্ষার বাের্ড গঠন করে থাকে। এছাড়াও ৪/৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে বাের্ড গঠন হয়ে থাকে।

কমিশনের চেয়ারম্যান/সদস্যবোর্ড চেয়ারম্যান
সরকার কর্তৃক মনােনীত যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাবাের্ড সদস্য
কমিশন কর্তৃক মনােনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞবাের্ড সদস্য
উত্তর প্রদানের ভাষা
বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা সম্পর্কিত বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর সংশ্লিষ্ট ভাষাতেই লিখতে হবে। অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর বাংলা বা ইংরেজি যেকোনাে ভাষায় লেখা যাবে। একটি বিষয়ের উত্তরে উদ্ধৃতি বা অনিবার্য টেক্সট ব্যতীত একাধিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। কোনাে বিষয়ের প্রশ্নপত্রে অন্য কোনােরূপ নির্দেশনা থাকলে উক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ঐ নির্দেশনা অনুযায়ী লিখতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !