১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম। স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চালু হওয়া ৭৫০ শয্যার সুপার স্পেশাইলাইজড হাসপাতাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে হাসপাতাল সংলগ্ন প্রায় ১২ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে সরকার।
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ জনগণের জন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১,৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমােদন করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বরে ২০১৮ দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইডিসিএফের অর্থায়নে ১,০৪৭ কোটি টাকা ঋণ সহযােগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বিশেষায়িত সব ধরনের সেবা নিয়ে বাংলাদেশে এটিই প্রথম সেন্টারভিত্তিক হাসপাতাল। .
হাসপাতালে যা রয়েছে
নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে— স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারােলজি সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার। দ্বিতীয় পর্যায় রয়েছে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমােলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হয়েছে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা।
৬টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে হাসপাতালটির কার্যক্রম চলবে। এসব সেন্টারে ২ বছরের জন্য নিয়ােজিত থাকবেন ৬ জন কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ৫০ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এদেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে তারা ভূমিকা রাখবেন।
হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে রয়েছে। ১০০টি শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিলাক্স শয্যা ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে ৮টি করে শয্যা। হাসপাতালটিতে আছে। নিউম্যাটিক টিউব যার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের পর অটোমেটিক্যালি নির্দেশিত বিভাগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে।
এই স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা নিতে এসে রােগীকে অন্য কোনাে জায়গায় যেতে হবে না। কারণ হাসপাতালের ভিতরেই রয়েছে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিট বিশিষ্ট উন্নত কিচেন যার আওতায় ৩টি ক্যাফেটেরিয়া ও ৯০ সিট বিশিষ্ট ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের বিশাল সুবিধা। এখানে ১টি ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও ১টি এসক্যালেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভেনটিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।