উচ্চারণনীতি : শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে।
বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন : উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষিত না হলে ভাষার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। ভাষার অর্থবহতা বা বোধগম্যতার ক্ষেত্রে উচ্চারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই শুদ্ধ উচ্চারণ একদিকে যেমন ঠিকভাবে মনোভাব প্রকাশে সহায়ক, তেমনি শব্দের অর্থবিভ্রান্তি ও বিকৃতি ঘটার সম্ভাবনা থেকেও মুক্ত রাখে। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন অপরিসীম। বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে :
প্রমিত কথ্য ভাষার বাচনভঙ্গি অনুসরণ করা, অর্থাৎ চলিত ও আঞ্চলিক ভাষার পার্থক্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথভাবে ব্যবহার করা ।
স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনির যথাযথ উচ্চারণ সম্পর্কে অবহিত হওয়া। অর্থাৎ ঠিক উচ্চারণস্থান থেকেই ধ্বনিগুলোকে উচ্চারণ করতে হবে ।
উচ্চারণ-সূত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা।
আঞ্চলিকতা পরিহার করা।
প্রতিনিয়ত অনুশীলন বা চর্চা করা। যদি বানান বা উচ্চারণ সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই অভিধান দেখতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন :
- উচ্চারণরীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখো।
- বাংলা ব্যাকরণের পরিধি বা আলোচ্য বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
- “ভাষার অভ্যস্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কারের নামই ব্যাকরণ”-আলোচনা করো।
- ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।
- সাধু ও চলিত ভাষার মৌলিক পার্থক্যগুলো উদাহরণসহ আলোচনা করো।
- ভাষা কাকে বলে? বাংলা ভাষার কয়টি রূপ ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা।
- ‘অ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।