৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মন্ত্রিসভায়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থাকা অজামিনযোগ্য ধারা কমিয়ে নতুন আইনে জামিনযোগ্য ধারা বাড়ানো হয়েছে।
- মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের (ধারা ২৯) অপরাধে কারাদণ্ডের পরিবর্তে প্রস্তাবিত আইনে শুধু জরিমানার (২৫ লাখ টাকা) বিধান রয়েছে।
- মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডার (ধারা ২১) দণ্ডের বিধান দশের পরিবর্তে সাত বছর রাখা হয়েছে।
- ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত (ধারা ২৮) বিষয়ে দণ্ডের বিধান পাঁচের পরিবর্তে দুই বছর এবং জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
- বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টির দণ্ডের বিধান সাতের পরিবর্তে পাঁচ
বছর রাখা হয়েছে। - ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৬ ধারাগুলো অজামিনযোগ্য হলেও প্রস্তাবিত আইনে এগুলো ধারা জামিনযোগ্য ।
- বিলোপ করা হয়েছে আলোচিত ৩৩ ও ৫৭ ধারা।
- বিলটি সংসদে পেশ করা হবে সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ।
- প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ধারা রয়েছে ৬০টি।
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ হয় ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর।