ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প এবং একই সাথে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আইন
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল ২০১১ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অধ্যাদেশ, ২০১১ অনুমোদন করা হয় । ১২ মে ২০১১ রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেন। ২২ মে ২০১১ অধ্যাদেশটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। ২৭ জুন ২০১১ জাতীয় সংসদে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) বিল, ২০১১’ পাস হয়। ৩০ জুন ২০১১ রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করলে আইনে পরিণত হয় । একই সাথে অধ্যাদেশ জারির দিন অর্থাৎ ১২ মে ২০১১ থেকে কার্যকর করা হয়।
সুবিধা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়কপথের ধারণক্ষমতা বাড়াবে । অন্যদিকে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে এটি সংযুক্ত হলে শুধু বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী রুটের যাত্রীদেরই স্বস্তি দেবে না, একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে সহায়তা করবে।
উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকাকে বাইপাস করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। এতে ঢাকা এবং এর পার্শ্ববর্তী অংশে যানজট নিরসন হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০,০০০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে । প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ।
যানবাহনের টোল (টাকা) | |
প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি ৪ চাকা, ২ অ্যাক্সেল | ৮০ |
মাইক্রোবাস ১৬ সিটের কম | ৮০ |
পিকআপ/এসইউভি ৪ চাকা, ২ অ্যাক্সেল | ৮০ |
আনলোডেড হালকা ট্রাক ৩ টনের কম, ২ অ্যাক্সেল | ৮০ |
মিনিবাস ১৬-৩৯ সিট | ১৬০ |
যাত্রীবাহী বাস ৩৯ সিটের বেশি | ১৬০ |
আনলোডেড মাঝারি ট্রাক ৩ টনের বেশি, ২টি অ্যাক্সেল | ৩২০ |
ভারী ট্রাক ৩টি/বেশি অ্যাক্সেল | ৪০০ |
- প্রকল্পের নাম : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প
- রুট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও- মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)
- এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর : ১৯ জানুয়ারি ২০১১
- . বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান : ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (FDEE) কোম্পানি লিমিটেড।
- একনেকে অনুমোদন : ২০ জুলাই ২০১১
- ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : ৩০ নভেম্বর ২০১১
- নির্মাণকাজ উদ্বোধন : ১৬ আগস্ট ২০১৫
- র্যাম্প : ৩১টি (দৈর্ঘ্য ২৭ কিমি)
- মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য : ১৯.৭৩ কিমি
- র্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য : ৪৬.৭৩ কিমি
- মোট লেন : ৪টি
- প্রকল্প ব্যয় : ৮,৯৪০ কোটি টাকা
- নিয়ন্ত্রক সংস্থা : বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (BBA)
- প্রকল্পের মেয়াদকাল : জুলাই ২০১১- জুন ২০২৪
- কাজ সমাপ্তির তারিখ : ৩০ জুন ২০২৪।